বছরের প্রথম দিনেই এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদী মুখ খুলেছেন কেন্দ্রের একগুচ্ছ বিতর্কিত নীতি নিয়ে। রাম মন্দির ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসেই নতুন করে আশায় বুক বাঁধছে আরএসএস।
রাষ্ট্রীয় সেবক সঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্ব মোদীর সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হওয়ার পরপরই জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথা ইতিবাচক । তবে দত্তাত্রেয় হোসাবলে মনে করিয়ে দেন ভুলে গেলে চলবে না সরকারের এই মেয়াদেই রাম মন্দির নির্মাণের বন্দোবস্ত করার জন্য ভোটে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহার তৈরির সময়ই সেরকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
বছরের প্রথম দিনে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন, "আইনি প্রক্রিয়া শেষ হতে দিন। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে আমাদের সরকারের তরফে যা যা দায়িত্ব তা আমরা সম্পন্ন করার সর্বতো রকম চেষ্টা করব। সংবাদসংস্থা এএনআই-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলা উঠবে শুক্রবার। ওইদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শোনার জন্য নতুন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্থাপন করবে।“
আরও পড়ুন, নোটবন্দি কোনও ঝটকা ছিল না: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎকার
কংগ্রেসকে এ ব্যাপারে আর সমস্যা না তৈরি করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক ভাবে এ বিষয়টি ওজন করবেন না। কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে গত ৭০ বছর ধরে যারা সরকারে আসীন ছিল তারা (অযোধ্যা) ইস্যুটিকে জিইয়ে রেখেছে"।
মোদীর এই মন্তব্যের পর সঙ্ঘের তরফে দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, “মন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে ইতিবাচক বলেই মনে করছি। অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ার লক্ষ্যেই প্রত্যয় জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।১৯ ৮৯ সালে পালামপুরেও এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। প্রস্তাবেও বলা হয়েছিল দুই সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুষ্ঠু আলোচনার মাধ্যমে আইনি পথেই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে।” তবে একই সঙ্গে দত্তাত্রেয় বলেন, “দেশের মানুষ বিজেপি-র উপর আস্থা রেখেছিল। বিজেপি-ও ভোট ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সংবিধান মেনে মন্দির নির্মাণের সব রকম চেষ্টা করবে। মানুষ আশা করছে এই মেয়াদের মধ্য সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে সরকার।
Read the full story in English