অযোধ্যায় রাম মন্দির বানানোর জন্য অর্থ দান করলে ৮০-জি ধারায় তা করমুক্ত হবে। অর্থমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৫ই ফেব্রুয়ারি রাম মন্দির বানানোর জন্য শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র গঠন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, 'অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের জন্য গঠিত শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টকে আয়কর আইনের ৮০-জি ধারার সুবিধা পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হল। ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে দাতারা কর ছাড়ের সুযোগ পাবেন। অযোধ্যায় রামমন্দিরের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব বিবেচনা করেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।'
দেশের সকল ধর্মীয় বা স্বচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে আয়কর ছাড়ের সুযোগ দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে ছাড়ে জন্য আয়কর আইনের ১১ ও ১২ ধারায় আবেদন জানাতে হয়। তারপরই ৮০-জি ধারায় করমুক্ত হবে কিনা তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে সেই মতোই আবেদন করেছিল শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট।
আরও পড়ুন- অযোধ্যা রায়: মণ্ডল-করমণ্ডল রাজনীতির বৃত্ত সম্পূর্ণ
এর আগে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান মাহাত্ম্য বিবেচনা করে, চেন্নাই ও মহারাষ্ট্রের একাধিক ট্রাস্টকে আয়কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, মহারাষ্ট্রের সাজ্জানগদের রামদাস স্বামী মঠ, রামদাস স্বামী সমাধী মন্দির, চেন্নাইয়ের আরিয়াকুদি শ্রী শ্রীনিবাস পেরুমল মন্দির, অমৃতসরের শ্রী হারমন্দির সাহিব গুরুদ্বার।
গত বছরের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা জমি বিতর্কের রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ে সর্বসম্মতিক্রমে বিবাদের মূলে থাকা ২.৭৭ একর জমিটি হিন্দুদের দেওয়ার কথা বলা হয়। সেই জমিতে রামের মন্দির বানানোর জন্য তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট গঠন করতে হবে বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫ সদস্যের ট্রাস্ট গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার ট্রাস্ট যত দ্রুত সম্ভব মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করতে চাইছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন