ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায়ের অপেক্ষায় গোটা দেশ। অযোধ্যা রায়ের আগে উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে উদ্যোগী হলেন দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব ও ডিজিপির সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করার কথা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই অযোধ্যা মামলার রায় দিতে পারে দেশের শীর্ষ আদালত।
জানা যাচ্ছে, আজ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব রাজেন্দ্র তিওয়ারি ও ডিজিপি ওম প্রকাশ সিংকে নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। অযোধ্যা রায় ঘিরে সে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ মামলার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে অযোধ্যা ও উত্তরপ্রদেশের সংবেদনশীল অঞ্চলগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে প্রায় ৪ হাজার আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানানো হয়েছে, “সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে রাজ্যের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করতে। পাশাপাশি দেশের কোথাও যেন কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্যও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাবরি শরিয়ায় মসজিদই ছিল এবং থাকবে, কিন্তু সুপ্রিম রায় মেনে নেব’
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছিল, অযোধ্যায় বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া ও রামলালা বিরাজমানের মধ্যে সমান ভাবে ভাগ করতে হবে। এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ১৪টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। এরপর তিন সদস্যের মধ্যস্থতাকারী প্যানেল তৈরি করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু মধ্যস্থতা ব্যর্থ হওয়ায় গত ৬ অগাস্ট থেকে এ মামলার দৈনিক শুনানি শুরু হয়েছিল। কিছুদিন আগে শেষ হয় বিতর্কিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের জমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি। অযোধ্যা মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৭ নভেম্বর অবসরগ্রহণ করবেন প্রধান বিচারপতি। তার আগেই রায়দান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।