রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ রায়ের প্রেক্ষিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করে নেওয়া যাক বা ঝালিয়ে নেওয়া যাক।
অযোধ্যা মামলা- এ মামলা অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি নিয়ে। হিন্দুদের বিশ্বাস এটি ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমি, মুসলিমদের দাবি বাবরি মসজিদ নির্মাণের দিন থেকেই সেখানে নমাজ পাঠ করা হত।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট- ২০১০ সালে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিন বিচারপতি বেঞ্চ রায় দেয় - বিতর্কিত জমির যৌথ মালিক রামলালা বিরাজমান, নির্মোহী আখড়া এবং সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। বলা হয়, এই তিনজনের মধ্যে জমি ভাগাভাগি করে দেওয়া হবে সমান ভাবে। ২০১১ সালের মে মাসে, শীর্ষ আদালত এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। তার আগে সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল হিন্দু ও মুসলমান দুই পক্ষই।
আরও পড়ুন, Ayodhya Land Dispute Case Timeline: একনজরে বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার সুপ্রিম রায়
বাবরি মসজিদ- ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ সালে হিন্দু করসেবকরা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দেয়, তাদের উদ্দেশ্য ছিল ওই জায়গায় একটি অস্থায়ী মন্দির তৈরি করা। এ ঘটনার জেরে স্বাধীন ভারতের বৃহত্তম দাঙ্গা হয়, যার জেরে নিহত হন ২০০০ এর বেশি মানুষ।
ভগবান রামলালা বিরাজমান রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদ মামলার একটি পক্ষ। অযোধ্যার বিতর্কিত জমির পুরোটাই দাবি করার সঙ্গে সঙ্গে ভগবান রামলালা বিরাজমান সংলগ্ন জমির পুরোটাই দাবি করেছেন, যা ২৯৯৩ সাল থেকে কেন্দ্র অধিগ্রহণ করে রেখেছে। রামলালা বিরাজমান ওই বিতর্কিত জায়গায় যখন সুবিশাল রাম মন্দির তৈরি হবে, তখন ভক্তকুলের সুবিধার জন্য ওই জমি নিজেদের দখলে চায়।
করসেবক- করসেবক বা হিন্দু স্বেচ্ছাসেবকরা রাম মন্দির তৈরির জন্য ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছিল, যার জেরে সারা দেশে ব্যাপক দাঙ্গা হয়।
নির্মোহী আখড়া- রামের অনুগামী একটি হিন্দু গোষ্ঠা যারা ব্রহ্মচর্য পালন করে। ১৯৫৯ সালে তারা বিতর্কিত কাঠামোর স্বত্ব দাবি করে মামলা দায়ের করেছিল।
উত্তর প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড- ১৯৮৯ সালে রামলালা বিরাজমান এই স্থানের একমাত্র দাবিদার বলে উদয় হওয়ার আগে পর্যন্ত নির্মোহী আখড়া এবং সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এই সম্পত্তির মূল দাবিদার বলে ধরা হত।