‘রাম ভক্তি হোক কিংবা রহিম ভক্তি, এখন ভারতভক্তি গড়ে তোলার সময়’, অযোধ্যার ঐতিহাসিক রায় প্রসঙ্গে এ ভাষাতেই মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে মোদী লিখেছেন, ‘‘অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা জয় বা পরাজয় হিসেবে দেখা ঠিক নয়। শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখুন’’। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে দেশের একতা ও অখণ্ডতার ভিত আরও মজবুত হবে। উল্লেখ্য, অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিতর্কিত জমি দেওয়া হোক রামলালাকে। মসজিদ তৈরির জন্য দেওয়া হোক বিকল্প জমি।
অযোধ্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ুন
একনজরে পড়ে নিন কে কী বললেন?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী- অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা জয় বা পরাজয় হিসেবে দেখা ঠিক নয়। রাম ভক্তি হোক কিংবা রহিম ভক্তি, এখন ভারতভক্তি গড়ে তোলার সময়। শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখুন। আইনি পথে যে কোনও মতভেদই শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করা যায়। এই রায় বিচারবিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা নতুন করে সুদৃঢ় করবে।
আরও পড়ুন: Ayodhya Verdict Live Updates: ‘অযোধ্যার বিতর্কিত জমি হিন্দুদের, মসজিদের জন্য বিকল্প জমি’
src="https://www.youtube.com/embed/ahIcUUfEqlM" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এরজন্য লড়াই চালিয়ে আসছিলেন, তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই রায় দেশের একতা, অখণ্ডতা, মহান সংস্কৃতির ভিত আরও মজবুত করবে...শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখুন।
আরও পড়ুন: Ayodhya Case Verdict Highlights: একনজরে বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার সুপ্রিম রায়
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং- এটা ঐতিহাসিক রায়।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী- সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছে। এই সময় ভারতীয়দের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বিশ্বাস ও ভালোবাসা বজায় রাখা উচিত।
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা- সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষেই কংগ্রেস।
অন্যদিকে, অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট নয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। বোর্ডের আইনজীবী জাফরিয়াব জিলানি বলেন, ‘‘আমরা রায়কে সম্মান জানাচ্ছি। কিন্তু আমরা সন্তুষ্ট নই। পরবর্তী পদক্ষেব ঠিক করব’’। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ‘‘এই রায়কে জয়-পরাজয় হিসেবে না দেখাই ভাল। ভগবান শ্রী রামচন্দ্র কোনও এক বিশেষ সম্প্রদায়ের নয়। তিনি রাষ্ট্রীয় মহাপুরুষ। উনি মর্যাদার প্রতীক। প্রত্যেকে শান্তি বজায় রাখুন’’।
আরও পড়ুন: অযোধ্যার বিতর্কিত জমির সবটাই কেন হিন্দুদের হাতে তুলে দিল সুপ্রিম কোর্ট?
টুইটারে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘রায় বা ঝড়বৃষ্টির দাপট যাই হোক না কেন আমাদের অসহায় মানুষের সঙ্গে থাকতেই হবে। জীবন বাজি রেখে, গুজবে কান না দিয়ে, প্ররোচনার ফাঁদে পা না দিয়ে সর্বত্র শান্তি, সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। রাজ্যের বাম, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলির দায়িত্ব সর্বাধিক’’।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা খুশি। মন্দির নির্মাণের জন্য যে হাজার হাজার মানুষ বলিদান দিয়েছেন, তাতে আমরা সম্মান জানাচ্ছি। আমাদের কাছে এটা গর্বের মুহূর্ত। রাম মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে ভারতের গৌরবযাত্রা ফের শুরু হবে। একতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই রায় আগেও আসতে পারত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা হয়তো প্রশাসনের উপর ভরসা রাখতে পারেনি। অনেক পুরনো সমস্যা ছিল এটা। সরকার ঠিক পথেই এগোচ্ছে। পুরনো বিবাদ সঠিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। বিজেপি কথা দিয়েছিল, তিন তালাক রদ করেছে, ৩৭০ ধারা বাতিল করেছি, কথা রাখতে পারলাম। আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে…আমিও রাম মন্দির আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম। ১৯৮৬ সাল থেকে যুক্ত ছিলাম। আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন’’।
Read the full story in English