Advertisment

অযোধ্যা মামলা: ‘আগামী প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে সাংবিধানিক রীতি মেনে রায় দিন’, সুপ্রিম কোর্টে আর্জি মসজিদপক্ষের

‘‘সুপ্রিম কোর্ট যে রায়ই দিক না কেন, তার প্রভাব পড়বে আগামী প্রজন্মের উপর। দেশের রাজনৈতিক অবস্থানের উপরও প্রভাব পড়বে’’।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
supreme court, সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট।

শুনানি শেষ হয়েছে, এখন ঐতিহাসিক রায়ের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে অযোধ্যা। বিতর্কিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কী রায় শোনাবে, সে দিকে যখন তাকিয়ে গোটা দেশ, এর ঠিক আগে এই মামলা রোজই নয়া মোড় নিচ্ছে। সেই ধারা অব্যাহত রেখেই এবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করল মসজিদ পক্ষের এক তরফ। অযোধ্যা রায়ের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে, তাই এমন রায়ই দেওয়া হোক, যা দেশের সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার আগে এ কথাই সুপ্রিম কোর্টকে এক পাতার বিবৃতি দিয়ে 'স্মরণ' করিয়ে দিল মসজিদপক্ষ।

Advertisment

ইতিমধ্যেই আদালতে ‘মোল্ডিং অফ রিলিফ’ পেশ করেছে তারা। অর্থাৎ, রায় যার পক্ষে যাবে, তার বিপক্ষ দল কী দাবি জানাচ্ছে, তা জানিয়ে রাখা। রবিবার মসজিদ পক্ষে সওয়ালকারী ৭টি পার্টি যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যেহেতু সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে, তাই এই ঐতিহাসিক রায় এমন হওয়া উচিত যা সাংবিধানিক মূল্যবোধ মেনে হয়। সেই রায় যেন গোটা দেশ সমর্থন করতে পারে...আমরা আশা করছি, আদালত আমাদের বিবিধ ধর্ম-সংস্কৃতির মূল্যবোধকে মর্যাদা দিয়ে এ সমস্যার সমাধানের রাস্তা বের করবে'। প্রসঙ্গত, ওই বিতর্কিত জমিতে মন্দিরের হয়ে সম্প্রতি সওয়াল করতে থাকেন অনেক পক্ষ। এরপরই এই যৌথ বিবৃতি পেশ করেন মসজিদ পক্ষের একাংশরা।

আরও পড়ুন: ‘সামনেই অযোধ্যা রায়, ধন্তেরাসে সোনা নয়, তলোয়ার কিনুন’

মসজিদ পক্ষদের তরফে জানানো হয়েছে. ‘‘সুপ্রিম কোর্ট যে রায়ই দিক না কেন, তার প্রভাব পড়বে আগামী প্রজন্মের উপর। দেশের রাজনৈতিক অবস্থানের উপরও প্রভাব পড়বে। দেশের মানুষের উপর প্রভাব পড়বে। মোল্ডিং অফ রিলিফ আদালতের দায়িত্ব...আদালতের বিবেচনা করে দেখা উচিত, এই রায়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে’’।

আরও পড়ুন: কাশ্মীর সীমান্তে পাল্টা হামলা ভারতের, নিহত পাঁচ পাক সেনা

এদিকে, বিতর্কিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের জমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষের দিন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে আদালত নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী প্যানেল মীমাংসা সূত্র (সেটলমেন্ট) পেশ করেছে বলে জানা যায়। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার যদি জমি অধিগ্রহণ করে, তাহলে আপত্তি থাকবে না সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের। পরিবর্তে তাদের জন্য নতুন মসজিদ গড়ে দিতে হবে। পাশাপাশি অযোধ্যার মসজিদগুলি সংস্কার করতে হবে, যেখানে নমাজ পাঠ করা যাবে। এমন শর্তেই বিতর্কিত জমির উপর দাবি ছাড়তে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড রাজি বলে জানা যাচ্ছে। তবে জমি নিয়ে আপত্তি তুলে নেওয়ার কথা তাঁরা জানাননি বলে দাবি করেছেন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবীরা। এরপর মুসলিমপক্ষদের একাংশ জানিয়ে দেয় যে, তাঁরা কোনওররকম সমঝোতার পথে হাঁটতে রাজি নন।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছিল, অযোধ্যায় বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া ও রামলালা বিরাজমানের মধ্যে সমান ভাবে ভাগ করতে হবে। এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ১৪টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। এরপর তিন সদস্যের মধ্যস্থতাকারী প্যানেল তৈরি করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু মধ্যস্থতা ব্যর্থ হওয়ায় গত ৬ অগাস্ট থেকে এ মামলার দৈনিক শুনানি শুরু হয়েছিল। গত বুধবার বিকেল চারটেয় শেষ হয় বিতর্কিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের জমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি। অযোধ্যা মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।

Read the full story in English

supreme court Ayodhya
Advertisment