উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক বক্তৃতার অপরাধে সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের তিন বছর জেল হল। অবশ্য রায় ঘোষণার পরই আজম খান জামিন পেয়ে যান। আর, রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর জন্য হাতে একসপ্তাহ সময় পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করার পর চলতি বছরের গোড়ায় মুক্তি পেয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির এই প্রাক্তন সাংসদ।
শুধু প্রাক্তন সাংসদই নন। আজম খান সমাজবাদী পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীপদেও ছিলেন। বৃহস্পতিবারই রামপুরের আদালত তাঁর তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজার কথা শুনিয়েছে। তবে, শুধু আজম খানই নন। তাঁর সঙ্গে আরও দুই ব্যক্তিকেও একই কারণে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রামপুর আদালত। সঙ্গে প্রত্যেককে ২,০০০ টাকা করে জরিমানাও করেছে। বছর তিনেক আগে লোকসভা নির্বাচনের সময় আজম খানের বক্তৃতার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক বক্তৃতার মামলা দায়ের হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের সময় বক্তৃতা দিতে গিয়ে আজম খান যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে ওই মন্তব্য করেছিলেন। খানের সেই বক্তব্য সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক ছিল বলেই বিভিন্ন মহলের মত। সেই অভিযোগেই খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল রামপুর জেলা আদালতে। মুলায়ম সিং যাদব সমাজবাদী পার্টির প্রধান থাকাকালীন আজম খান ছিলেন সপার অন্যতম বড় নেতা।
আরও পড়ুন- ভাইদের মঙ্গলকামনায় ফোঁটা দিদিদের, ভাইফোঁটায় উৎসবমুখর ‘নিষিদ্ধপল্লি’
তবে, নেতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আজম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগও কম জমা পড়েনি। খানের বিরুদ্ধে এখনও প্রায় ৯০টি মামলা রয়েছে। সেই সব মামলার অনেকগুলোই রাজনৈতিক মামলা নয়। এমনকী, চুরি করা, তহবিল তছরুপ করা, দুর্নীতির মত নানা মামলাও রয়েছে উত্তরপ্রদেশের এই সংখ্যালঘু নেতার বিরুদ্ধে।
মুলায়ম জমানায় কুমন্তব্য করার জন্য আজম খান বরাবরই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসতেন। এমনকী, তাঁর মন্তব্যের জন্য পরিবারের মধ্যে থেকেও তাঁকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। শুধু হিন্দুত্ববাদীদের প্রতিই নয়। আজম খান মহিলাদের প্রতিও কুমন্তব্যের জন্য বারবার সংবাদ শিরোনামে এসেছেন। তবে, অখিলেশ যাদব সমাজবাদী পার্টির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজনীতিতে আজম খানের গুরুত্ব অনেকটাই কমে গিয়েছে।
Read full story in English