লোকসভায় বিজেপির প্রবীণ সদস্যা রমা দেবীর উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন সাংসদ আজ়ম খান।
তিনি বলেন, "ডেপুটি স্পিকারের প্রতি আমার কোনও খারাপ মনোভাব নেই। পুরো কক্ষ আমার ব্যবহার সম্পর্কে অসচেতন। এসব সত্ত্বেও যদি ডেপুটি স্পিকার মনে করেন আমার মন্তব্য অসম্মানজনক, তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি।"
জিরো আওয়ারে এই ক্ষমাপ্রার্থনা নিয়ে ঝড় ওঠে সংসদে। অধ্যক্ষ ওম বিড়লা আজ়ম খানের ক্ষমাপ্রার্থনা অনুমোদন করেন এবং বলেন এর পুনরাবৃত্তি না করতে।
গত ২৫ জুলাই আজ়ম খানের মন্তব্য রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা হয়। তাঁর মন্তব্য ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা হয়। গত শুক্রবার জ়িরো আওয়ারে এ ইস্যু তোলা হয়। নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা নিয়ে চাপ বাড়তে থাকে আজ়ম খানের উপর।
দলমত নির্বিশেষে বেশ কিছু সাংসদ আজ়ম খানের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখান।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ছাড়াও যেসব সাংসদরা এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন, তাঁরা হলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেডি-ইউয়ের রাজীব রঞ্জন। মুখ খোসেন রবিশংকর প্রসাদ, বাবুল সুপ্রিয়রাও।
কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, তাঁর দল মহিলাদের প্রতি কোনও রকম অসম্মানের বিরুদ্ধে। তবে তিনি এও মনে করিয়ে দেন সোনিয়া গান্ধীকে অতীতে ইতালি কি কাঠপুতলি বলে অভিহিত করা হত। বিজেপি সদস্যরা অধীরের এই বক্তব্যের সময়ে তীব্র চিৎকার চেঁচামেচি করেন। স্মৃতি ইরানি বলেন, তাঁকে প্রায়শই এ ধরনের মন্তব্যের মুখে পড়তে হয়।
Read the Full Story in English