Advertisment

পুলিশের ভুলে জেলবন্দি আজমগড়ের বাসিন্দা!

ষাঁড়কে হত্যার ছক ছিল, এই সন্দেহে আজমগড়ের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তদন্ত শেষে ওই ব্যক্তি নির্দোষ হওয়ায় ভুল স্বীকার করল পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Azamgarh, আজমগড়

পুলিশের ভুলে গ্রেফতার হলেন আজমগড়ের এক বাসিন্দা। প্রতীকী ছবি।

গো-হত্যা রুখতে গিয়ে ডাহা ভুল করল পুলিশ। পুলিশের ভুলের জেরে এক ব্যক্তিকে জেলে দিন গুজরান করতে হল। এমন ঘটনাই ঘটেছে আজমগড়ে। ষাঁড়কে হত্যার ছক ছিল, সে সন্দেহেই এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তদন্ত করে ভুলস্বীকার করল পুলিশ। ভুলবশত ভাবেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দায় নিল পুলিশ। মহম্মদ মকসুদ নামে বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তিকে গত রবিবার গ্রেফতার করা হয়। পরে নিজের ভুল বুঝতে পারে পুলিশ। সেকারণেই মকসুদকে শীঘ্রই জেল ছেড়ে দেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisment

আজমগড়ের শাহপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা মকসুদ। ষাঁড়কে হত্যার চক্রান্তের অভিযোগে যিনি এখন আজমগড় জেলে বন্দি। গত রবিবার একটি ষাঁড় নিয়ে যাচ্ছিলেন মকসুদ। ওই ষাঁড়টি মকসুদ হত্যা করবেন, গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারপরই সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করে। এদিকে এ ঘটনার পর সুশীল কুমার দুবে নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান যে, তাঁরই অনুরোধে একটা জখম ষাঁড়কে তাঁর গোশালায় নিয়ে আসছিলেন মকসুদ। এরপরই পুলিশ নিজের ভুল বুঝতে পারে।

আরও পড়ুন, যোগী ও আরএসএসের বিরুদ্ধে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট করায় অভিযুক্ত ৫

এ ঘটনা প্রসঙ্গে আহরৌলা থানার স্টেশন হাউস অফিসার অযোধ্যা তিওয়ারি জানিয়েছেন যে, রবিবার মকসুদকে গ্রেফতারের পাশাপাশি একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেদিন সন্দেহ হওয়াতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এমনকি, নিজের বক্তব্যের সাপেক্ষে তেমন কোনও জোরালো মকসুদ প্রমাণ দিতে পারেননি, তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্মী।

আজমগড়(গ্রামীণ)-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নরেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেন, ‘‘তদন্ত শেষের পর আমরা মামলাটা তুলে নিচ্ছি। মকসুদকে খুব শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে।’’ এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘প্রথমে মকসুদকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার চাপে তাঁকে ফের গ্রেফতার করা হয়েছিল।’’

এদিকে, মকসুদকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এলাকায় বিক্ষোভ দেখান তাঁর পরিজনরা। মিথ্যা মামলায় মকসুদকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। এ ঘটনা সামনে আসার পর আজমগড়ের পুলিশ সুপার রবিশংকর চাবি তদন্তের নির্দেশ দেন এবং সেইসঙ্গে এ ঘটনায় দ্রুত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র প্রতাপ সিংকে। এ প্রসঙ্গে আহরৌলা থানার স্টেশন হাউস অফিসার জানান যে, তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, একটা দুর্ঘটনায় ষাঁড়টি জখম হয়। সুশীল কুমার দুবে একটা গোশালা চালান। সুশীলই ওই ষাঁড়টিকে তাঁর গোশালায় আনার কথা মকসুদকে বলেছিলেন।

Read the full story in English

national news uttar pradesh
Advertisment