লকডাউনে অন্ন জোগাতে গিয়ে হিমসিম খেয়েছিলেন দিল্লির অশীতিপর বৃদ্ধ কান্তা প্রসাদ। বিক্রি-বাট্টা নেই তাঁর ধাবায় এদিকে সুজনের সংসার। গাল বেয়ে ঝড়ছে অঝোর ধারা। সেই ভিডিওটি ইউটিউবে পোস্ট করেন গৌরব ওয়াসান। আর তারপর থেকেই ভাইরাল হয় ভিডিওটি। সোশাল মিডিয়ায় 'বাবা কা ধাবা'র বৃদ্ধের জন্য উপচে পড়ে অর্থ ও ভালবাসা।
একসময় বৃদ্ধকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সেই গৌরবের নামেই এবার অভিযোগ দায়ের করলেন কান্তা প্রসাদ। অশীতিপরের দাবি তাঁদেরকে দেখিয়ে ইউটিউবার টাকা রোজগার করলেও তাঁদের সেই টাকার ভাগ দেওয়া হয়নি। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, "আমি শুধু গৌরবের থেকে ২ লক্ষ টাকার একটি চেক পেয়েছি। এখন আমার এখানে খদ্দেরও বেশি আসে না। যারা আসেন সেলফি তুলে চলে যান। আগে দিনে ১০ হাজার টাকা রোজগার করতাম এখন ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা হয়।"
তবে একা নন, শনিবার মালভিয়া নগর থানায় একদল সহমর্মীদের সঙ্গে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন কান্তা। তিনি অভিযোগ করেন গৌরব ওয়াসান "ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের এবং তাঁর পরিবারের ব্যাঙ্কের বিবরণ ভাগ করে নিয়েছিলেন এবং অনুদান হিসাবে একটি বিশাল পরিমাণ সংগ্রহ করেছিলেন বাবা কা ধাবার ভিডিও প্রকাশ করে"। ডিসিপি (দক্ষিণ) অতুল কুমার ঠাকুর বলেন, "আমরা গতকাল অভিযোগ পেয়েছি এবং এটি খতিয়ে দেখছি।" এখনও কোনও এফআইআর করা হয়নি এমনতাই জানায় পুলিশ।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন গৌরব। তিনি বলেন, "আমি যখন ভিডিওটি শ্যুট করেছি তখন আমি জানতাম না যে এটি এত বড় হয়ে উঠবে। আমি চাইনি যে লোকেরা বাবা (প্রসাদ)-কে হয়রানি করুক। তাই আমি আমার নিজের ব্যাঙ্কের বিবরণ দিয়েছিলাম।" তিনি তিনটি লেনদেন বিবরণ পাঠান। দুটি চেক ১,০০,০০০ এবং ২,৩৩,০০০ টাকার এবং ব্যাঙ্কের একটি রিসিট ৪৫ হাজারের।
যদিও কিছু ইউটিউবার্স অভিযোগ করেছেন যে ওয়াসানকে ২০-২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল, তবে ওয়াসান তা অস্বীকার করেছেন। "আমরা ইউটিউবারগুলির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি," তিনি বলেছিলেন।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন