শিশুদের শরীরে করোনার উপসর্গ মূলত জ্বর, সমীক্ষায় নয়া তথ্য

গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৯০ দিনের কম বয়সি শিশুদের শরীরে করোনার ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলেও উপসর্গ প্রায় নেই। থাকলেও তা খুবই মৃদু।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৯০ দিনের কম বয়সি শিশুদের শরীরে করোনার ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলেও উপসর্গ প্রায় নেই। থাকলেও তা খুবই মৃদু।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বয়সের বালাই নেই, এক থেকে একশ, নভেল করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে নিস্তার পাচ্ছে না কেউই। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৯০ দিনের কম বয়সি শিশুদের শরীরে করোনার ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলেও উপসর্গ প্রায় নেই। থাকলেও তা খুবই মৃদু। তাই একমাত্র শিশুদের কাছেই হার মানছে করোনা।

Advertisment

শিশুরোগ চিকিৎসা (পেডিয়াট্রিকস) জার্নালে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে যে সদ্যজাত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক উপসর্গ খুবই মৃদু। অনেকসময় উপসর্গ হিসেবে জ্বর দেখা যায় সদ্যজাতদের শরীরে। শ্বাসযন্ত্রে কোনওরকম সমস্যা দেখা যায়নি এখনও পর্যন্ত। সেই কারণে শিশুদের শরীরে গুরুতর প্রকাশ পায়নি কোভিড-১৯, এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রকাশিত জার্নালের অন্যতম লেখিকা লীনা মিথাল।

লীনা বলেন, " আমরা যেসব শিশুদের উপর করোনাভাইরাস নিয়ে সমীক্ষা করেছি তাঁদের বেশিরভাগের দেহে জ্বরই করোনা উপসর্গ হিসেবে দেখা গিয়েছে।" যদিও তিনি মনে করেন এই উপসর্গও শিশু চিকিৎসা ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ১৮টি শিশুর দেহে পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হয়। যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁদের অক্সিজেন, রেসপিরেটরি সাপোর্ট কিংবা ইনটেনসিভ কেয়ার কোন কিছুরই প্রয়োজন হয়নি।

Advertisment

তবে যেসব বাচ্চারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তাঁদের নয় জনের ছ'জনেরই গ্যাস্ট্রোইন্টেসটিনাল সমস্যা থাকছে। যেমন খেতে না চাওয়া, বমি এবং ডায়রিয়া। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মূলত নাক দিয়েই শরীরে প্রবেশ করছে।

coronavirus COVID-19