অযোধ্যায় দ্রুত রাম মন্দির নির্মাণে সরব হয়ে লোকসভা ভোটের আগে সরকারের উপর ‘চাপ’ তৈরি করছে আরএসএস, শিবসেনারা। এজন্য কেউ কেউ যেমন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন, আবার কেউ অর্ডিন্যান্স আনার কথা বলেছেন। আরএসএস, শিবসেনা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ত্রিফলা চাপের জেরে বিজেপি যদি শেষ পর্যন্ত মন্দির নির্মাণে অর্ডিন্যান্স জারি করে, সেই আশঙ্কাতে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি।
দেশের শীর্ষ আদালতে এ নিয়ে পিটিশন দাখিল করবে বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি। বুধবার এমন খবরই সামনে এসেছে। মঙ্গলবার বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির বৈঠকে এ নিয়েই আলোচনা হয়। সেই বৈঠকেই এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য, আগামী ৪ জানুয়ারি মন্দির ইস্যুতে শুনানি রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে।
আরও পড়ুন, রাম মন্দির নিয়ে কী ভাবলেন, মোদী সরকারকে প্রশ্ন গেরুয়া সাংসদদের
সংবাদসংস্থা আইএএনএস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির সেদিনের বৈঠকে ছিলেন মোট ৭০ জন। তাঁদেরই একজন জানিয়েছেন, মন্দির নির্মাণ নিয়ে মোদী সরকার অর্ডিন্যান্স আনতে পারে বা আইন প্রণয়ন করতে পারে, তা নিয়েই এদিন আলোচনা হয়েছে। মসজিদ কমিটির আহ্বায়ক জাফরিব জিলানি জানিয়েছেন, সবদিক খতিয়ে দেখেই যাতে শীর্ষ আদালত এ নিয়ে কোনও রায় দেয়, সে নিয়ে আর্জি জানাবে কমিটি। এজন্য যাতে শীর্ষ আদালত কোনও তাড়াহুড়ো না করে সে আর্জিও জানাবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, বিজয়া দশমীর ভাষণ দিতে গিয়ে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বলেছিলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ার জন্য সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা। প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করেই রাম মন্দির গড়ার ব্যাপারে সরকারের সব জট কাটানো দরকার বলে মন্তব্য করেছিলেন ভাগবত। আরএসএসের পাশাপাশি রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। মন্দির তৈরির জন্য বিল পেশ করার দাবি জানিয়ে গত ২৫ নভেম্বর থেকে অযোধ্যা-সহ ৭টি জায়গায় ধর্মীয় সভার আয়োজন করেছে তারা।
সাড়ে ৪ বছর পার হলেও এখনও অযোধ্যায় মন্দির তৈরির প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি মোদী। এ নিয়ে কয়েকদিন আগেই সুর চড়িয়েছিলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। নাম না করে মোদীকে ‘কুম্ভকর্ণ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন উদ্ধব। অন্যদিকে, রাম মন্দির সরকার কী ভাবছে, একথা জানতে চেয়ে বেশ কয়েকজন বিজেপি সাংসদ প্রশ্ন তোলেন সংসদীয় বৈঠকে।