‘বাবরি শরিয়া আইন অনুযায়ী মসজিদ ছিল এবং থাকবে’, এমন মন্তব্যই করলেন জমিয়েত উলেমা-ই-হিন্দের প্রেসিডেন্ট আরশাদ মাদানি। অযোধ্যার মতো ঐতিহাসিক মামলার রায়দান নিয়ে যখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে গোটা দেশ, সেই আবহে মাদানির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। একইসঙ্গে মাদানি বলেছেন, অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দেবে, তা তাঁরা মেনে নেবেন।
অযোধ্যা মামলায় মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া কেন ভেস্তে গেল, এ প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন মাদানি। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা রাম চবুতরাকে মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু হিন্দুপক্ষরা তাঁদের দাবি থেকে সরলেন না। যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল, যেখানে মুসলিমরা প্রার্থনা করতেন, সেই তিনটি গম্বুজ ও এটার উঠোনের অংশের দাবি ছাড়তে নারাজ ছিলেন হিন্দুপক্ষরা। ভারতীয় ওয়াকফ আইন অনুযায়ী এই দাবি মানা যায় না। কারণ শরিয়া আইন অনুযায়ী, এটা মসজিদ ছিল। যাই হোক, হিন্দুপক্ষরা তাঁদের দাবি থেকে সরেননি। ফলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনও অপশন নেই’’।
আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: অযোধ্যা মামলায় বিচার্য বিষয়গুলি
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছিল, অযোধ্যায় বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া ও রামলালা বিরাজমানের মধ্যে সমান ভাবে ভাগ করতে হবে। এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ১৪টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। এরপর তিন সদস্যের মধ্যস্থতাকারী প্যানেল তৈরি করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু মধ্যস্থতা ব্যর্থ হওয়ায় গত ৬ অগাস্ট থেকে এ মামলার দৈনিক শুনানি শুরু হয়েছিল। কিছুদিন আগে শেষ হয় বিতর্কিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের জমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি। অযোধ্যা মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৭ নভেম্বর অবসরগ্রহণ করবেন প্রধান বিচারপতি। তার আগেই রায়দান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English