সম্প্রতি যাদবপুরকাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র। সেই দূরত্ব আরও কিছুটা বাড়িয়ে এবার রাজ্যকে দূষণ নিয়ে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল (আইআইএসএফ)-এর পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, "রাজ্যে দূষণ এড়াতে এবং বনসৃজন তৈরিতে কেন্দ্রকে কোনও রকম সহযোগিতা করছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার।"
আরও পড়ুন- গরুর দুধে সোনা আছে, বিজ্ঞান না বুঝেই সমালোচনা হচ্ছে: দিলীপ
উল্লেখ্য, চলতি বছরের আগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রকের তরফে প্রতিটি রাজ্যের জন্য বনসৃজন পরিচালনা এবং পরিকল্পনা তহবিলের থেকে ৪৭৪৩৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়। কেন্দ্র সরকারের তরফে বনাঞ্চলের উন্নতির লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে এই প্রকল্পটিকে। এ প্রসঙ্গেই বাবুলের বক্তব্য, "প্রতিটি রাজ্য তাদের নিজ নিজ বনবিভাগের মন্ত্রীদের নয়াদিল্লিতে পাঠিয়েছিল। একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বনসৃজন পরিচালনা এবং পরিকল্পনা তহবিলের অধীনের চেকগুলি রাজ্যমন্ত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যেহেতু সেই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন বিভাগের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু অনুপস্থিত ছিলেন, সেই কারণে আমরা রাজ্যের দুই আধিকারিকের হাতে সেই চেক তুলে দিয়েছি।"
আরও পড়ুন- বাংলার বুকে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’
কলকাতার বায়ু দূষণ কমানোর জন্য তাঁর মন্ত্রকের কী প্রচেষ্টা রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বাবুলের জবাব, "পরিবেশমন্ত্রী হিসেবে রাজ্য সরকারকে অনেক চিঠি লিখে পাঠিয়েছি, কিন্তু তাঁর একটারও উত্তর আসেনি। গত কয়েক বছরে পরিবেশবান্ধব নয় এমন শিল্পগুলি কলকাতার গঙ্গা নদীর পাশেই তৈরি হয়েছে এবং সেই সংখ্যা প্রায় ৪৮। এবার আমাকে খতিয়ে দেখতে হবে যে নোটিশ পাওয়ার পরও কীভাবে এই শিল্পগুলি এখনও সেখানে আছে।"
তবে রাজ্যেকে দূষণ মুক্ত করতে এগিয়ে আসতে হবে রাজ্যকেই, এমনটাই মনে করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সম্পাদক আশুতোষ শর্মা। রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এস অ্যান্ড টি) কাউন্সিলগুলিকে গবেষণার উন্নয়নে আরও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে আহ্বানও জানান তিনি। আশুতোষ শর্মা বলেন, "অনেক বছর ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে অবহেলা করা হয়েছে। রাজ্যকে তাই প্রথমে স্থানীয় সমস্যাগুলিকে সনাক্ত করতে হবে এবং গবেষণা করে সেই সময়ার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।"
Read the full story in English