রাঁচি থেকে দিল্লি আসার বিমানে হঠাৎ করেই মাঝআকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ে একরত্তি এক শিশু। এমন পরিস্থিতিতে ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসেন দুই চিকিৎসক। তাঁদের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল শিশুটির। এই ঘটনা সামনে আসতেই প্রশংসার ঝড়।
রাঁচি থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিগো ফ্লাইটে এক শিশুর জীবন বাঁচাতে প্রাণপাত করেছেন দুই চিকিৎসক। শিশুটি শ্বাসকষ্টে ভুগছিল এবং জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত ছিল সে। রাঁচি থেকে বিমানটি আকাশে ওড়ার মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই বিমানের ভিতর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় শিশুটির। তারপরে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে ইন-ফ্লাইট ঘোষণা করা হয়। ঠিক এমন সময় বিমানে উপস্থিত দুই সহযাত্রী চিকিৎসক ত্রাতা হয়ে এগিয়ে এসে মেয়েটির প্রাণ বাঁচান। শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি ওড়ার মাত্র ২০ মিনিট পর বিমান সেবিকা শিশুটির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বিমানে থাকা যে কোন চিকিৎসকের কাছে সাহায্য চান। ডাঃ নিতিন কুলকার্নি এবং রাঁচি সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসক যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শিশুটির প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। এক ঘণ্টা পর বিমানটি অবতরণ করলে মেডিকেল টিম শিশুটিকে তাদের তত্ত্বাবধানে নিয়ে যায় এবং শিশুটির চিকিৎসা শুরু করেন।
জানা গিয়েছে শিশুটির হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য বাবা-মা শিশুটিকে দিল্লির এইমস-এ নিয়ে যাচ্ছিলেন। শিশুটি জন্মগত হৃদরোগে ভুগছিল। ডাঃ কুলকার্নি বলেন, শিশুটি শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিল। আমরা শিশুটির মেডিকেল রেকর্ড পরীক্ষা করেছি। তিনি জানান, ওষুধের কিট থেকে থিওফাইলিনের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। ইনজেকশন এবং অক্সিজেন দেওয়ার পরে, শিশুটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটে।