Advertisment

বৃত্ত সম্পূর্ণ, ’৯৯-এর বিমান অপহরণকারীদের ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক

বিমান অপহরণের ঘটনার পরের বছর, অর্থাৎ ২০০০ সালে ইউসুফের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করা হয়েছিল।রেড কর্নার নোটিসে ইউসুফের বাড়ির ঠিকানা করাচি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
yusuf azhar, ইউসুফ আজহার

মাসুদ আজহারের শ্যালক ইউসুফ আজহার। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

২০ বছর পর শেষমেশ তাদের কব্জা করল ভারত। মঙ্গলবার ভোরে ভারতের দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে গুঁড়িয়ে গিয়েছে বালাকোটে জইশের ‘সবথেকে বড় ঘাঁটি’। যে প্রশিক্ষণ শিবিরের মাথায় ছিলেন জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালক ইউসুফ আজহার ওরফে মহম্মদ সালিম। ১৯৯৯ সালে বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল এই ইউসুফই। যে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিবিআইয়ের তালিকায় নাম ছিল মাসুদ আজহারের ভাই ইব্রাহিমেরও।

Advertisment

১৯৯৮ সালে জম্মুতে আটক করা হয়েছিল ইউসুফকে। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরের বছর ২৪ ডিসেম্বর বিমান ছিনতাই করা হয়েছিল। যাত্রীদের বিনিময়ে মাসুদ আজহার ও আরও ২ জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছিল ভারত সরকার। ৭ দিন ধরে অচলাবস্থা চলেছিল। কাঠমান্ডু-নয়াদিল্লি আইসি- ১৮৪ বিমান অপহরণ করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে আফগানিস্তানের কান্দাহারে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই বিমান।

আরও পড়ুন, ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের সামনে কী কী পথ খোলা?

বিমান অপহরণের ঘটনার পরের বছর, অর্থাৎ ২০০০ সালে ইউসুফের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করা হয়েছিল।  রেড কর্নার নোটিসে ইউসুফের বাড়ির ঠিকানা করাচি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এও বলা হয়েছিল যে, সে উর্দু ও হিন্দিভাষী। বিমান ছিনতাই, অপহরণ ও খুনে জড়িত ছিল ইউসুফ। যে সময় বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে, সেসময় তার বয়স ২৮ ছিল বলে অনুমান।

ইন্টারপোলের নোটিস অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ইউসুফের সুঠাম চেহারা, কালো চুল রয়েছে। বিমান ছিনতাইয়ের মূলচক্রী ছিল ইউসুফ ও মাসুদ আজহারের ভাই ইব্রাহিম, এ দাবি করেছে সিবিআই। মাসুদকে মুক্ত করার জন্য যে ছক কষেছিল ইউসুফরা, তাতে জড়িত ছিল এক ভারতীয় নাগরিকও। আব্দুল লতিফ নামে ওই ভারতীয়র সাহায্য নিয়েছিল ইউসুফরা।

আরও পড়ুন, বালাকোট হামলা: দিনের শেষে কী জানা গেল, কী জানা গেল না

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান অপহরণের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করেছিল লতিফ। এছাড়াও, টাকার জোগান, পাসপোর্ট, জাল ড্রাইভিং লাইসেন্সেরও ব্যবস্থা করেছিল লতিফ। তদন্তকারীদের দাবি, বিমান অপহরণের ছক কষা হয়েছিল ১৯৯৮ সালের জুলাই-অগাস্ট থেকে। সে সময়ই বাংলাদেশের ভিসা পাওয়ার জন্য লতিফের সাহায্য চেয়েছিল ইউসুফ। মাসুদ আজহারের শ্যালকের হাতে যে ভুয়ো ভারতীয় পাসপোর্ট ছিল, তাতে তার নাম মহম্মদ সালিম হিসেবে উল্লেখ করা ছিল।

১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিম গোরেগাঁয়ের মাধব ভবনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়ার ব্যবস্থা করতে লতিফের সাহায্য নিয়েছিল ইউসুফ। তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, ওই বছরের এপ্রিলে শঙ্কর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মুম্বইয়ে আসে ইউসুফ। ইব্রাহিমের পাসপোর্টের জন্য তার একটি ছবিও দিয়েছিল ইউসুফ। জেল থেকে মাসুদ আজহারকে মুক্ত করার ছক বানচাল হওয়ার পরই বিমান অপহরণের ছক কষে ইউসুফরা। প্রায় দেড় বছর ধরে ইব্রাহিম বিমান অপহরণের ছক কষেছিল ইব্রাহিম, এ তথ্যও পেয়েছে সিবিআই। কাঠমান্ডু থেকে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান অপহরণ করে তা আফগানিস্তানে আনা হবে, লতিফকে এমন নির্দেশ দিয়েছিল ইব্রাহিম ও ইউসুফ, সিবিআই সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে।

Read the full story in English

International news Surgical Strike national news
Advertisment