তাঁর ভারত সফরের আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন যে রোহিঙ্গারা তাঁর দেশের জন্য "একটি বড় বোঝা"। ভারতও রোহিঙ্গা সমস্যায় ভুগছে। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে মায়ানমারকে রাজি করানোর ব্যাপারে বড় ভূমিকা নিতে পারে ভারত। হাসিনার সফরের ব্যাপারে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিদেশসচিব বিনয় কোয়াত্রা। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশ কি বিষয়টি উত্থাপন করেছিল? সেই ব্যাপারে প্রশ্নের কোনও সরাসরি উত্তর দেননি কোয়াত্রা।
কোয়াত্রা বলেন, 'রোহিঙ্গা ইস্যুতে, আমরা সবাই খুব ভালোভাবে জানি এবং আন্তর্জাতিক দুনিয়াও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে ভূমিকা পালন করেছে তা স্বীকার করেছে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক দুনিয়া এই ব্যাপারে বাংলাদেশের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানায়। ভারতও বাংলাদেশের এই ব্যাপারে বারবার বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সাহায্য করেছে। আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের কোনও সাহায্যের দরকার হলে, ভারত তা মাথায় রাখবে।'
আরও পড়ুন- বাগুইআটি কাণ্ডে ভীষণ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, ক্লোজড আইসি, তদন্তভার নিল সিআইডি
কোয়াত্রা বলেন, 'ভারত সরকারও চায় অন্যান্য দেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিরাপদে স্থিতিশীল মায়ানমারে ফিরে যাক। এই ব্যাপারে ভারত সব সময় গঠনমূলক ভূমিকা নিতে আগ্রহী। আগামী দিনেও এই ব্যাপারে ভারতের গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে।' বর্তমানে বাংলাদেশ ১০ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। তবে, তাদের ফেরানো বেশ কঠিন। বেশ কয়েকটি ঘটনাতে স্পষ্ট যে এজন্য ভারতকে প্রয়োজনে মায়ানমারের জুন্টা সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে হবে। মায়ানমারে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের আগে ঢাকা ও নেপিদ শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়া চেষ্টা নিয়ে বৈঠক করেছিল। কিন্তু, জুন্টার ক্ষমতা দখলের পর পরিস্থিতি ফের বদলে যায়।
গত কয়েক সপ্তাহে, সেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য। এই রাজ্যকেই রোহিঙ্গারা তাদের বাসভূমি বলে মনে করে। সেখান থেকে আরও বহু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের। রাখাইনে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে মায়ানমার সেনাবাহিনী এবং রাখাইন বৌদ্ধদের একটি সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি (AA)-এর মধ্যে একটি অ-আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চলছে। ঢাকার ক্ষোভের কারণে, রাখাইনে যত সংঘর্ষ হচ্ছে, সবটাই ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের দিকে।
Read full story in English