অপেক্ষার অবসান! আজ শনিবার উদ্বোধন হতে চলেছে বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আগামীকাল সকাল ৬ টা থেকেই জনসাধারণের জন্য এই সেতু খুলে দেওয়া হবে। সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সাজো সাজো রব বাংলাদেশে। এই সেতু চালু হলে ঢাকার সঙ্গে ২১ জেলার দূরত্ব কমবে।
পাশাপাশি কলকাতা থেকে ঢাকার মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। ফলে দু দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজসাধ্য হবে। ফলে আরও চাঙ্গা হবে অর্থনীতি। এই সেতু ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। সেতুর নীচ তলা দিয়ে চলবে যানবাহন এবং ওপর তলা দিয়ে ছুটবে ট্রেন। সকাল ১১ টায় শুরু হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাকবেন আরও বিশিষ্ট অতিথিবর্গ। মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১২,১৩৩.৩৯ কোটি টাকা।
আশে পাশের জেলাগুলি থেকে সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ রওনা দিয়েছেন। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সারা দেশের মতো সাতক্ষীরাও সেজে উঠেছে উৎসবের মেজাজে। সেতুর উদ্বোধন ঘিরে ইতিহাস ও আবেগের বিস্ফোরণে মিলে মিশে একাকার বাংলাদেশ।
কলকাতায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের তরফে বিশেষ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে।সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েও ছড়িয়ে পড়েছে সেতু ঘিরে মানুষের আবেগ। এতদিন ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণাংশে যাতায়াত কষ্টসাধ্য ছিল। ফেরি সার্ভিসে সময়ও লাগত অনেকটাই বেশি। পদ্মা সেতু খুলে যাওয়ায় প্রচুর সময় বাঁচবে। পাশাপাশি কলকাতা-ঢাকার মধ্যে যাতায়াত আরও সহজ হবে। পদ্মা সেতুর ফলে কলকাতা এবং ঢাকার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যাবে।
আরও পড়ুন:<আজ ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে একাধিক জেলা, শহরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস>
আগে কলকাতা থেকে ঢাকা আসতে ৪০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হত। ১০ ঘণ্টা লাগত। পদ্মা সেতু চালু হলে মাত্র চার ঘণ্টা কলকাতা থেকে ঢাকার পৌঁছানো যাবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে বাংলা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তাও পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য 'পদ্মকন্যা' উপাধি পেয়েছেন হাসিনা।
যত সময় যাচ্ছে, ভিড় বাড়ছে। সকাল ১০ টা থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে সাজো সাজো রব বাংলাদেশে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই সেতু বাংলাদেশের জন্য একটি 'নেশন বিল্ডিং প্রজেক্ট'। সেতুর উদ্বোধন বদলে দিতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে। এই সেতুর টোল ট্যাক্স আদায় করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের তরফে যান-চলাচল বাবদ টোল ট্যাক্সের একটি তালিকাও সামনে আনা হয়েছে।