বিধ্বংসী আগুনে জ্বলছে এক কেমিক্যাল কন্টেনার রাখার ডিপো। দমকল কর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা করলেও এখনও পর্যন্ত তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। কমপক্ষে ৪০ জনের পুড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪৫০ ছাড়িয়ে গেছে। উদ্ধার হওয়া আহতদের সিএমসিএইচ-সহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
পুলিশ কর্মীদেরও একটা বিরাট দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক নুরুল আলম বলেন, 'দমকল কর্মীরা কাজ করতে গিয়ে বাধা পাচ্ছেন। ভিতরে রাসায়নিক থাকায় এখনও যখন তখন বিস্ফোরণ ঘটছে। তাই দমকল কর্মীদের বেশ সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে।' বিস্ফোরণের তীব্রতার শব্দে আশপাশের বাড়িগুলোর জানালার কাচ পর্যন্ত ভেঙে যাচ্ছে। প্রায় চার কিলোমিটার দূরত্বের বাড়ির কাচও বিস্ফোরণের শব্দে ভেঙে যাচ্ছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
আগুন যাতে আর না-ছড়াতে পারে, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ এই কন্টেনারের ডিপোতে আগুন লাগে। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ড উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের কাছেই ২১ একর এলাকাজুড়ে এই বেসরকারি কেমিক্যাল কন্টেনারের ডিপো। মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মৃতদের বিনামূল্যে সত্কারের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, আহতদের চিকিত্সার যাবতীয় খরচ সরকারই বহন করবেন বলেও জানিয়েছেন। ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে এই উচ্চপর্যায়ের কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।
আরও পড়ুন- ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের’ আশঙ্কা, মাঙ্কি পক্স নিয়ে চরম সতর্কতা জারি আমেরিকায়
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মীদেরও কাজে লাগানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলোয় এত বেশিসংখ্যক রোগী এসে পড়ায় রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা হাসপাতালগুলোর ব্ল্যাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদানের মাধ্যমে রক্তের চাহিদা মেটাচ্ছেন।
Read full story in English