Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ডাল-পালা মেলছে হিন্দু বিদ্বেষের বীজ। প্রতিদিনই চলছে হিন্দুদের উপর নির্যাতন, ভারত বিরোধী স্লোগান। ইসকনকে উপড়ে ফেলার ডাক দেওয়ার পর কলকাতা দখল! ফের ঢাকার রাজপথ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছুঁড়ল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজউদ্দীন আহমেদ।
কিছুতেই কমছে না ভারত বিদ্বেষ। এবার ভারতকে যুদ্ধের হুমকি বাংলাদেশের। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতিনিয়ত টার্গেট করা হচ্ছে। সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘু অত্যাচারের বিষয়ে নীরব। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিল বাংলাদেশ। দেশবাসীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ডাক দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজউদ্দীন আহমেদ। পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মহড়া হিসাবে সকল ছাত্র সমাজকে রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ঢাকার এক সভা থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে এইভাবেই হুঙ্কার ছোঁড়েন তিনি।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যেই বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি গত সোমবার বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের বিষয় সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তুলে ধরেন। তিনি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, "আমি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠভাবে কাজের ইচ্ছা প্রকাশ করেছি।" তিনি তার সফর শেষে ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "আমরা কিছু সাম্প্রতিক উন্নয়ন এবং সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগও পেয়েছি এবং আমি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে ভারতের উদ্বেগ সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে অবগত করেছি"।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে নিশানা করেছেন। সম্প্রতি তার দল আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি এক বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বলেন, "মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে নৈরাজ্যের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউনূসের কারণেই বাংলাদেশে গণহত্যা হচ্ছে এবং হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে, তিনিই এই সব কিছুর মাস্টারমাইন্ড"। শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘু, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা বেড়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই, ইউনূস সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে গণহত্যা করেছে।