/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/08/Bangladesh.jpg)
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন চলে যায় সরকার-বিরোধীদের দখলে।
Bangladesh Hindu Situation: সেনার আশ্বাসই সার। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর নৈরাজ্য-সন্ত্রাসের পরিবেশ। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দুদের উপর। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্করও। কোথাও পোড়ানো হচ্ছে ঘরবাড়ি, কোথাও আবার ভাঙা হচ্ছে মন্দির-উপাসনালয়। বাংলাদেশে এই নৈরাজ্যের পরিবেশে চরম আতঙ্কিত সংখ্যালঘু হিন্দুরা।
একের পর এক হিন্দু মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেছে বেছে হিন্দুদের উপর করা হচ্ছে আক্রমণ। মহিলাদের উপর চলছে অবাধে অত্যাচার। ভাইরাল হয়েছে মহিলাদের বাঁচার আর্তিতে চিৎকার। মেহেরপুরে এক আওয়ামি লিগ নেতা-সহ হিন্দুদের ৯টি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকাতেও একাধিক হিন্দু পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর করে লুঠপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধেয় মালোপাড়ার ৬টি হিন্দু বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। দিনাজপুরের সদর উপজেলায় ফুলতলা শ্মশানঘাট এলাকায় হরিসভা ঘর, দুর্গামন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ, বোচাগঞ্জ উপজেলার ঈশানিয়া ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজারে হিন্দুদের ৪০টিরও বেশি দোকানে ভাঙচুর-লুঠপাট চালানো হয়েছে।
সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিয়ে ভারত সরকার কী ভাবছে?
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি উপর নজর রাখছে নয়াদিল্লি। কেন্দ্রীয় সরকার খবর পেয়েছে, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সংগঠন। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত, তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উদ্বেগ বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন হিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ! আটকে থাকা ভারতীয় ট্রাকচালকদের ফেরাতে তৎপরতা তুঙ্গে
হামলার মধ্যে সম্প্রীতির ছবিও দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশের গাজিপুরে বিভিন্ন হিন্দু মন্দির হামলার হাত থেকে পাহারা দিচ্ছেন ইসলামিক সংগঠনের সদস্যরা। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী। ১৩.৫ শতাংশ থেকে কমতে কমতে হিন্দুদের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৮ শতাংশে।