বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তবে এই ফলাফলে বিস্মিত হয়নি গোটা বিশ্ব। নভেম্বরের শুরুতে নির্বাচন ঘোষণা হলে এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বয়কটের ডাক দিলে তিনিই যে পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল গোটা বিশ্ব। তবে কত সংখ্যক আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছেন হাসিনা সেই দিকেই ছিল পাখির চোখ। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ জিতেছে ২২২টি আসনে, নির্দল প্রার্থীরা জিতেছে ৬৩টি আসনে।
প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন আড়াই লাখ ভোট
গোপালগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসনে আবারও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি মোট ২,৪৯,৯৬৫টি ভোট পেয়েছেন, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম নিজাম উদ্দিন লস্কর পেয়েছেন মাত্র ৪৬৯টি ভোট। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্ষমতার লাগাম হাসিনার (৭৬) হাতে। এবার নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি হবে তার পঞ্চম মেয়াদ। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন বয়কটকে জনগণ ভোট দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদির।
নির্বাচন কমিশনের মতে, ৪২ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রে ২৭টি রাজনৈতিক দলের দেড় হাজারেরও বেশি প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং তাদের বাদে ৪৩৬ জন নির্দল প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাড়ে সাত লাখের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিরোধীদের বয়কটের মধ্যে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার জয়, ভারতের কী লাভ হবে?
গত বছরের নভেম্বরে যখন বাংলাদেশের নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছিল, তখনই আশা করা হয়েছিল শেখ হাসিনাই হতে চলেছেন পঞ্চম মেয়াদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বাংলাদেশের বিরোধী দল ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন বর্জন করেছিল। এই জয়ের পর পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শেখ হাসিনা।
নির্বাচনী ফলাফলের কথা যদি বলা হয়, এখন পর্যন্ত ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত ২২৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। যেখানে নির্দল প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন।
আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচনী ফলাফলকে 'গণতন্ত্রের জয়'বলে বর্ণনা করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাগত শক্তিশালী হয়েছে। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বাংলাদেশের কাছ থেকে ধারাবাহিক সহযোগিতা পেয়েছে এবং বাংলাদেশের মাটিতে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য প্রকৃত প্রচেষ্টা করা হয়েছে।