জিত প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু এমন বিপুল ভোটে যে জিতবে আওয়ামি লীগ, তা বোধহয় জানতেন না দলনেত্রী শেখ হাসিনা নিজেও। এই নিয়ে তৃতীয় বার বাংলাদেশে ক্ষমতায় এলো হাসিনার সরকার, যা এর আগে কোনো সরকার পারে নি। মূল প্রতিদ্বন্দী বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা বিএনপিকে বিপুল ভোটে হারালো হাসিনার আওয়ামি লীগ। ২৯৮ টি আসনের মধ্যে ২৮৭ টিই জিতেছে তারা। গতবার ভোট বয়কট করা বিএনপি মাত্র ৬টি আসনে জয়ী হয়েছে।
রবিবার নির্বাচন চলাকালীন দুই প্রতিদ্বন্দী দলের মধ্যে একাধিক হিংসার ঘটনায় রক্তাক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। নিহত হয়েছেন ১৭ জন। ২০০-র অধিক মানুষ জখম হয়েছেন। হাসিনার বিরোধীদের গ্রেফতার করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও এসেছে।
বিরোধী জোট নেতা কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, সুস্থ নির্বাচন হওয়ার জন্য যতটুকু মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা দরকার, তাও নেই বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন, Bangladesh General Election 2018 LIVE Updates: শেষ হলো ভোটদান, হিংসার বলি অন্তত দশজন
নির্বাচনের দিন ঢাকার একাধিক নির্বাচন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিকরা। বহু বুথেই বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি। চূড়ান্ত হিংসার ঘটনায় একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বাতিল করে দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুনর্নিবাচন হবে।
২০০৮-এর পর এই প্রথম আওয়ামী লিগ এবং বিএনপি মুখোমুখি লড়াইয়ে নামল। ১০ কোটি ৪০ লক্ষ ভোটারের মধ্যে রবিবারের নির্বাচনে কত মানুষ ভোট দিয়েছেন, তার কোনও হিসেব এখনও পর্যন্ত দেয়নি নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি, সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এসেছে একাধিকবার। তাঁর শাসনকালে গণমাধ্যমকে দমিয়ে রাখার অভিযোগও এসেছে প্রায়শই।
Read the full story in English