ভারত সীমান্তে টেলি পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ, সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনই খবর। উল্লেখ্য, নিরাপত্তার স্বার্থে দুই দেশের সীমান্তের এক কিলোমিটার অঞ্চলে টেলি যোগাযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাসিনা সরকার। পরবর্তী নির্দেশের আগে এই সিদ্ধান্তই কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছিল ঢাকা।
আরও পড়ুন: নিজেদের পারমাণবিক ক্ষমতার খতিয়ান পরস্পরের হাতে তুলে দিল ভারত-পাকিস্তান
দ্য ডেইলি স্টার সূত্রে খবর, বুধবার সমস্ত মোবাইল অপারেটরদের একটি মেল পাঠানো হয়। যেখানে নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু করার কথা বলা হয়েছে। টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী মুস্তাফা জাব্বর দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই ভারত সীমান্তে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ক্যাব পেশের আগে বিশেষ বৈঠকে বসেছিল মোদী সরকার, চাঞ্চল্যকর খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হাতে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ফলে সে দেশের মুসলিমরা বাংলাদেশে ঢুকতে পারেন, এই আশঙ্কা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, সিএএ পাসের পরই দুই বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ভারত সফর বাতিল করেন। যা ঘিরে এ দেশে তোলপাড় হয় জাতীয় রাজনীতি। সিএএ ও এনআরসি ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নয়া মাত্রা পায়। এ প্রসঙ্গে পরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এনআরসি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় ঠিকই। তবে এর প্রভাব পড়তে পারে পড়শি দেশে।
Read the full story in English