'এনআরসি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। এপ্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। সবকিছু ঠিকই আছে'। আসাম এনআরসি নিয়ে বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসাম এনআরসি উদ্বেগ বাড়িয়েছিল ওপার বাংলার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আপাতত সেই উদ্বেগ কেটে গিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাতেই তা স্পষ্ট। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস হাসিনার কাছে জানতে চায়, নিউইয়র্কে মোদীর আশ্বাসে কি সন্তুষ্ট তিনি? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উত্তর, 'অবশ্যই'।
আরও পড়ুন: মনমোহন সিং আমাদের অনুষ্ঠানে আসছেন, পাকিস্তানের নয়: অমরিন্দর সিং
ভারতীয় বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে এসেছেন। রাজধানী দিল্লিতে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। শনিবার, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই সফরের শুরুতেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় দিল্লিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূনীতিকদের।
নিউইয়র্কে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও হাসিনা।
বিজেপি সরকার বলছে গোটা দেশে এনআরসি প্রয়োগ করা হবে। গত মঙ্গলবার কলকাতায় এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছেন, ' সরকার অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের দেশ থেকে বার করে দেবে'। মোদী সরকারের এই ঘোষণায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে নিউইয়র্কে প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই বৈঠকেও মোদীকে হাসিনা সেই উদ্বেগের কথা জানান। জবাবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, 'এতে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই'। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তিহার জেলেই চিদাম্বরম, বাড়ল হেফাজতের মেয়াদ
সূত্রের খবর, এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছেন মোদী। জানা গিয়েছে, ভারতের সেই অবস্থান এখনও বজায় রয়েছে। ঢাকার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের গুরুত্ব গত পাঁচ বছরে স্পষ্ট হয়েছে বার বার। ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনাও বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসের বেশির ভাগ ঘাঁটিই নির্মূল করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে, ভারতের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English