Bangladesh Protests Updates: সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, বাংলাদেশের সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে। শেখ হাসিনার সরকার ২০১৮ সালে সংরক্ষণ নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত, গত ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। রবিবার হাইকোর্টের রায় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিলেও জানিয়েছে, সেদেশের সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধার ভিত্তিতে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মীয় বা উত্তরপুরুষদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বাকি ২ শতাংশ সংরক্ষিত থাকবে উপজাতি এবং শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন্য।
কার্ফুর সময়সীমা বেড়েছে
গত কয়েক দিন ধরে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকার রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ১৫১-এ পৌঁছে গিয়েছে বলে বেসরকারি সংস্থার দাবি। এই পরিস্থিতিতে দেশকে শান্ত রাখতে বাংলাদেশে শুক্রবার রাত থেকে কার্ফু জারি করেছে শেখ হাসিনার সরকার। রবিবারও কার্ফুর সময়সীমা বাডা়নো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পথে টহলদারি চালাচ্ছে সেনা। চলছে হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও নজরদারি।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, হাই কোর্টের রায় বেআইনি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ থাকবে। তবে সেটা পাঁচ শতাংশ। অন্যান্য শ্রেণির জন্য আরও দুই শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।'
আরও পড়ুন- বাংলাদেশ হিংসায় কড়া নজর মোদীর, নিরাপদে উড়িয়ে আনা হল ৪০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ আসন এর আগে সংরক্ষিত ছিল। যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য ছিল। ৫৬ শতাংশের মধ্যে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিজনদের জন্য ছিল ৩০ শতাংশ, মহিলাদের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জেলার জন্য ১০ শতাংশ, উপজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। ১৯৭২ সাল থেকে এই নিয়ম চলে আসছিল। কিন্তু, ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার সরকার এই সংরক্ষণে রদবদল এনেছিল। যার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা। এরপর গত ৫ জুন, হাসিনার সরকারের সংরক্ষণে রদবদলের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেওযার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ হাইকোর্ট।