Malala Yusafzai: বার্মিংহামে বিয়ে করেছেন মালালা ইউসুফজাই। নোবেলজয়ী সমাজকর্মী ট্যুইট করে নিজেই সুখবর জানান। পাত্র আসের মালিক পাক ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা। মালালার নতুন জীবনকে শুভেচ্ছায় ভরিয়েছেন দেশ-বিদেশের একাধিক পরিচিত নাম। কিন্তু জীবনসঙ্গী হিসেবে পাক নাগরিককে কেন বাছলেন মালালা? ট্যুইটারে এই প্রশ্ন তুলে দিলেন তসলিমা নাসরিন।
নোবেলজয়ী তরুণীর সিদ্ধান্তে যারপরনাই অসন্তুষ্ট বাংলাদেশি লেখিকার ট্যুইট, ‘ওকে কারা মারার চেষ্টা করেছিল? পাকিস্তানিরা। কাদের জন্য ও দেশে থাকতে পারেনি? পাকিস্তানিদের জন্য। ও এখন কোথায় থাকে? ফিরিঙ্গিদের দেশে। কারা ওকে নিরাপদে রেখেছে? ফিরিঙ্গিরা। কারা আশ্রয় দিয়েছে? ফিরিঙ্গিরা। বই লিখে, প্রকাশ করতে কারা সাহায্য করেছে? ফিরিঙ্গিরা। মালালা তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ কারা করছে? ফিরিঙ্গিরা। কারা ওকে নোবেল দিয়েছে? ফিরিঙ্গিরা। তাই বিয়ে একজন ফিরিঙ্গিকেই করতে পারতো।‘ বিয়ে করলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাই। তালিবান রক্তচক্ষু এড়িয়ে স্কুলে যাওয়ার অপরাধে তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়। এক চোখে তালিবানের গুলি খেয়েও তাঁর অদম্য জেদ থেকে সরানো যায়নি। বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী মঙ্গলবার টুইটারে বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আনেন। জানান, ইংল্যান্ডের বার্মিহ্যামে ঘরোয়া ছোট অনুষ্ঠানে তাঁর নিকাহ হয়েছে।
পাত্র আসার মালিক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার। তবে বরের সম্পর্কে টুইটে কিছু খোলসা করেননি মালালা। কিন্তু সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তাঁর স্বামী আসার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্তা।
২৪ বছরের মালালা এখন ব্রিটেন নিবাসী। বার্মিংহ্যামে পারিবারিক অনুষ্ঠানে তাঁদের নিকাহ সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন মালালা। দাম্পত্য জীবনের জন্য অনুরাগীদের আশীর্বাদ এবং ভালবাসা চেয়েছেন মালালা। বরে এবং পরিবারের সঙ্গে ছবিও শেয়ার করেছেন টুইটারে।
লিখেছেন, “আজ আমার জীবনের একটা মূল্যবান দিন। আজ আমি আসারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলাম। সারাজীবনের সঙ্গী হিসাবে থাকব আমরা।” প্রসঙ্গত, মালালার গোটা জীবনটাই একটা সংগ্রাম। সেই ছোট্ট বয়স থেকে বহু রক্তচক্ষু উপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁকে। ২০১২ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তালিবানি হামলার মুখে পড়েন তিনি। চোখে গুলি লাগার পর হাসপাতালে মৃত্যুকে হারিয়ে ফিরে আসেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন