Advertisment

বাংলাদেশী গরু পাচারকারীকে করিমগঞ্জে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার অভিযোগ

গরু চুরির সময়ই তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। সেই সময়ই তাদের মারধর করা হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বাংলাদেশী গরু পাচারকারীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। ঘটনা আসামের করিমগঞ্জ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার। দেহ হস্তান্তরের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisment

ছয় সদস্যের পাচারকারী দল ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পুতনি চা বাগান এলাকায় গরু চুরি করতে আসে। পাচারকারীদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশী ও দু'জন ভারতীয় ছিল। গরু চুরির সময়ই তাদের ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। সেই সময়ই তাদের মারধর করা হয়। সেই মারধরেই এক বাংলাদেশী পাচারকারী নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ।

করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার কুমার সঞ্জিত কৃষ্ণ জানিয়েছেন যে, 'ওই এলাকায় হাতির একটি করিডর রয়েছে। সেখান দিয়েই অবৈধভাবে এ দেশে প্রবেশ করে গরু চুরির চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। সেই সময়ই তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। একজন নিহত হয়েছেন।' পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নিহতের নাম রঞ্জিত মুন্ডা, সে বাংলাদেশের সোনাপুর চা বাগান এলাকার বাসিন্দা।

ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে। করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার কুমার সঞ্জিত কৃষ্ণ জানিয়েছেন, ''বাংলাদেশে দেহ হস্তান্ত নিয়ে বিএসএফ-কে বলেছি। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে দেহ হস্তান্ত হতে পারে বলে জানান কৃষ্ণ।

গতবছর আগাস্টে করিমগঞ্জে এনকাউন্টারে বিএসএফ-এর হাতে এক বাংলাদেশী পাচারকারী নিহত হয়েছিল। প্রায় ৩০ সদস্যের বাংলাদেশী গরু পাচারাকীর দল ভারতে ঢোকার চেষ্টা করলে বিএসএফ বাধা দেয়। তখনই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। তারও আগে গত বছরই মে মাসে দক্ষিণ সালমারা থেকে গবাদি পশু পাচারের সময় এক বাংলাদেশী পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল বিএসএফ। তারপর দিনই বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে কোচবিহার-আসাম সীমানা থেকে এক বাংলাদেশী গরু পাচারকারীকে গ্রেফতরা করা হয়।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Bangladesh India Assam
Advertisment