গুলিতে খুন হয়ে গেলেন এক ব্যাংককর্মী। বিজয় কুমার নামে ওই ব্যাংককর্মী রাজস্থানের বাসিন্দা। বাড়ি হনুমানগড়ে। তিনি কাজ করতেন ইল্লাকি দেহাতি ব্যাংকে (ইডিবি)। এই ব্যাংক আরে মোহনপোরা গ্রামে। গুলিতে ওই ব্যাংককর্মী গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে এই ঘটনার পর এখন চরম আতঙ্ক। কয়েকদিন আগে এখানেই জঙ্গিরা এক মহিলা শিক্ষককে গুলি করে খুন করেছিল। তা-ও স্কুলের ঠিক বাইরেই।
ব্যাংক ম্যানেজার খুনের পিছনে জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। সেকথা মাথায় রেখে হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরই ভারতীয় সেনা, আধাসামরিক বাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের জওয়ানরা গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন। নিহত বিজয় কুমারের বয়স ২৭ বছর। তাঁর বাবার নাম ওমপ্রকাশ। তিনি নোহার এলাকার এক সরকারি স্কুলের শিক্ষক। বিজয়ের ছোট ভাই তাঁর চেয়ে তিন বছরের ছোট। নোহার থানার পুলিশ আধিকারিক রবিন্দর সিং জানিয়েছেন, চার বছর আগে রবিন্দর কাশ্মীরে এসেছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী-ও তাঁর সঙ্গে কাশ্মীরে থাকছিলেন।
আরও পড়ুন- হার্দিকের টুপি বদল, এবার নতুন অবতারে দেশসেবার প্রতিশ্রুতি
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ বার্তায় লিখেছে, 'এক ব্যাংক ম্যানেজার খুন হয়েছেন। তিনি কুলগামের আরে মোহনপাড়ার ইল্লাকি দেহাতি ব্যাংকে কাজ করতেন। তিনি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার পরই পুলিশ এলাকা ঘিরে ফেলে।' পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েকদিন হল বিজয় কুমার তাঁর নতুন পদে যোগ দিয়েছিলেন। এই খুনের ঘটনায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট টুইট করেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এনডিএ সরকার কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অবিলম্বে কাশ্মীরের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত।'
কাশ্মীরে সম্প্রতি অনাবাসীদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। পাশাপাশি, কাশ্মীরি হিন্দুদেরও নিশানা করছে জঙ্গিরা। গত ১২ মে, কাশ্মীরের হিন্দু নাগরিক রাহুল ভাট বাদগামের অফিসেই খুন হন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে কাশ্মীরের হিন্দু সরকারি কর্মীরা তাঁদের বদলির জন্য সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতেই খুন হলেন ব্যাংককর্মী বিজয় কুমার।
Read full story in English