সারা দেশের ১০ লাখ ব্যাঙ্ক কর্মচারী বুধবার ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। এই নিয়ে এ সপ্তাহে দ্বিতীয়বার দেশ জোড়া ব্যাঙ্ক ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। বিজয়া ব্যাঙ্ক ও দেনা ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এদিনের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্র ব্যাঙ্ক অফ বরোদার সঙ্গে দেনা ব্যাঙ্ক ও বিজয়া ব্যাঙ্কের সংযু্ক্তিকরণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। এই সংযুক্তির ফলে মোট ব্যবসার অঙ্ক দাঁড়াবে ১৪.৮২ কোটি ট্রিলিয়ন টাকা, যা হয়ে উঠবে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক। প্রথম স্থানে থাকবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং এইচডিএফসি।
আরও পড়ুন, পিএনবির বার্ষিক সাধারণ সভায় এবার বাজবে জাতীয় সংগীত
এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস। তাদের দাবি, সরকার এই সংযুক্তির মাধ্যমে ব্যাঙ্কের আকার বাড়াতে চাইছে, কিন্তু সমস্ত সরকারি ব্যাঙ্ককেও যদি একটি ব্যাঙ্কে একীভূত করা হয়, তাহলেও তা সারা পৃথিবীর প্রথম দশটি ব্যাঙ্কের মধ্যে আসতে পারবে না।
ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন, অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এবং ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ ব্যাঙ্ক ওয়ার্কার্স সহ ৯টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ইউনিয়ন জানিয়েছে, ”এই সংযুক্তিকরণের ফলে বহু শাখা বন্ধ হয়ে যাবে, যার ফলে সমস্যায় পড়বেন ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের ওপর জন ধন যোজনা, প্রধনামন্ত্রী আবাস প্রকল্পের মত বেশ কিছু সরকারি প্রকল্প লাগু করার চাপ রয়েছে।”
ইউনিয়নের দাবি, এই সংযুক্তির ফলে ব্যাঙ্ক বা গ্রাহক কারোরই সুবিধা হবে না, বরং উভয়পক্ষই অসুবিধার মধ্যে পড়বে।
এদিনে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ফলে টাকা জমা দেওয়া, টাকা তোলা, চেক ক্লিয়ারেন্স এবং ডিম্যান্ড ড্রাফট ইস্যুর মত ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
Read the Full Story in English