Supreme Court: পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক আতসবাজি নিষিদ্ধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার শীর্ষ আদালত সার্বিক ভাবে সেই নিষেধ কার্যকর করতে নির্দেশ দিল। শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আতসবাজি নিষিদ্ধ করে কোনও সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকে আঘাত করা হয়নি। বৃহৎ জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত। আমরা চাই সামগ্রিক ভাবে এই নির্দেশ কার্যকর হোক।‘
বিচারপতি এমআর শাহ এবং এএস বোপান্নার এই বেঞ্চ বলেছে, ‘ফুর্তির আড়ালে আপনারা (বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থা) মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে পারেন না। আমরা কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরোধী নই। কিন্তু একটা কড়া বার্তা দিতে চাই। আমরা নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করতে চাই।‘
তাদের মন্তব্য, ‘সব বাজি নিষিদ্ধ হয়নি। আগের সিদ্ধান্ত বৃহৎ জনস্বার্থে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট কারণে আতসবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন একটা প্রচার ছড়ানো হয়েছিল। আগেরবার আমরা বলেছিলাম মানুষের ফুর্তির মাঝে আসব না। ঠিক সেভাবেই আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার মাঝেও আসব না।‘
এদিকে, এবার কালীপুজোয় বঙ্গে বাজি ফাটবে। তবে, গ্রিন বাজি। রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্তই ফাটানো যাবে এই গ্রীন বাজি। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
পাশাপাশি ছট পুজো, বড় দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের দিনও গ্রীন বাডি ফাটানো যাবে বলে জানিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। চূড়ান্ত করে দেওয়া হয়েছে বাজি ফাটানোর সময়। ছট পুজোয় সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত গ্রীন বাজি পোড়ানো যাবে। বড় ও ইংরেজি নববর্ষে রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি ফাটানোয় ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। গত বছর করোনা সংক্রমণের জন্য বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই বছরও সংক্রমণ বন্ধ হয়নি। উল্টে পুজোর পর তা ঊর্ধ্বমুখী। তাই বাজি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়য় আদালতে।
এদিকে কোর্টের রায়ে বন্ধ বাজি পোড়ানো। ফলে ব্যবসা তলানীতে। লাভ নেই। ফলে শহিদ মিনার চত্বরে বাজি বাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন