শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মালদ্বীপে পালাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। ইস্তফা দেওয়ার আগেই বুধবার ভোরে সস্ত্রীক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন গোটাবায়া রাজাপক্ষ। তার পরেই জল্পনা ছড়িয়েছে ভারত গোটাবায়াকে পালাতে সাহায্য করেছে। লঙ্কার বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাল্টা দিল ভারত। শ্রীলঙ্কায় ভারতের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ভিত্তিহীন এবং জল্পনা।
উল্লেখ্য, এদিন ভোরেই ৭৩ বছরের গোটাবায়া বউ আয়োমা এবং দুই দেহরক্ষীকে নিয়ে সেনা বিমানে চেপে মালদ্বীপ পালিয়েছেন বলে খবর। তার পরেই রটে যায়, ভারতের তরফে গোটাবায়াকে পালাতে সাহায্য করা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, "অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। কিন্তু ভিত্তিহীন এবং জল্পনা ছাড়া আর কিছুই না। ভারত শ্রীলঙ্কার মানুষের পাশে রয়েছে। সবরকম সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত। সংবিধান মেনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শ্রীলঙ্কার উন্নতি এবং সমৃদ্ধির জন্য সাহায্য করবে ভারত।"
এদিকে, সংবাদসংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও গোটাবায়ার ইস্তফাপত্র হাতে পাননি স্পিকার আবেবর্ধনে। তাই সরকারি ভাবে পদত্যাগ করেছেন গোটাবায়া এটা বলা যাবে না। কিন্তু ইস্তফা না দিয়েই কেন পালালেন গোটাবায়া, তাঁকে কি গ্রেফতার করা হতে পারে বা খুন হতে পারেন এমনটা আঁচ করেছেন প্রেসিডেন্ট? গত শনিবার যেভাবে তাঁর অবর্তমানে লঙ্কাবাসী প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ঢুকে পড়েছে তাতেই প্রমাদ গুনেছেন গোটাবায়া, মনে করছে লঙ্কার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন ইস্তফা দেওয়ার আগেই বউকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালালেন গোটাবায়া
অন্যদিকে, ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে নির্বাচন হবে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য। প্রধান বিরোধী দল তাদের নেতা সাজিত প্রেমদাসাকে মনোনীত করবে। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তিনিই বিরোধীদের বাজি। প্রসঙ্গত, গোটাবায়ার পালানোর একদিন আগে মঙ্গলবার দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁর ভাই তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষ। কিন্তু তাঁকে এয়ারপোর্টেই আটকে দেন অভিবাসন আধিকারিকরা।