ভীমা-কোরেগাঁও সংঘর্ষের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পয়লা জানুয়ারি ভীমা সেনাদের জমায়েতে অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ মহাসঙ্ঘ (এবিবিএম)-এর কোনো আপত্তি নেই, বৃহস্পতিবার মহাসঙ্ঘের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল তা। কিন্তু অনুষ্ঠান চলাকালীন বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ নিয়ন্ত্রিত করার জন্য পুলিশ এবং প্রশাসনকে দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে (এবিবিএম)-এর পক্ষ থেকে।
বুধবারের এক সাংবাদিক বৈঠকে পুনের ভীমা সেনা সভাপতি দাত্তা পল ঘোষণা করেছেন প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রশেখর আজাদের উপস্থিতিতে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতিতে 'ভীমা-কোরেগাঁও সংঘর্ষ মহাসভা'-র আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন, ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় ফের স্বস্তিতে নওলাখা-তেলটুম্বড়ে-স্বামী
ইতিমধ্যে পুনে পুলিশের কাছে জমায়েতের অনুমতি চেয়ে রেখেছে ভীমা সেনারা। এবিবিএম-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পুলিশকে জমায়েতে অনুমতি দিতে বাধা দেবেন না তাঁরা। এবিবিএম-এর সভাপতি আনন্দ দাভে জানিয়েছেন, "গত বছর এলগার পরিষদের বিরুদ্ধে আদর্শগত মত পার্থক্য প্রকাশ করেছিলাম আমরা। এ বছর যদি সেই একই মতাদর্শ থেকে এবারেও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, আমাদের কিছু বলার নেই। ওঁদের বাক স্বাধীনতাকে আমরা সম্মান করি। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য পুলিশকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে"। ভীমা-কোরেগাঁও-এর ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বছর দুই সংগঠনের মধ্যে অশান্তি চরমে পৌঁছেছিল। এবিবিএম-এর পক্ষ থেকে পুলিশকে বলা হয়েছিল, যাতে ভীমা সেনাদের অনুষ্ঠানের প্রশাসনিক অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হয়। পরে অবশ্য নিজেদের অবস্থান পাল্টে নেয় এবিবিএম।
আনন্দ দাভে ইতিমধ্যে দলিত নেতা প্রকাশ আম্বেদকরের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানি, উমর খলিদ এবং ভীমা সেনার সর্বভারতীয় স্তরের সভাপতি বিনয় রতন সিং। পুলিশ দাবি করেছে এলগার পরিষদে যে ভাষণ দেওয়া হয়েছিল, তা হিংসা ছড়িয়েছিল। হিংসার জেরে এক ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল। পুনে পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী দাবি করা হয়েছিল এলগার পরিষদের সঙ্গে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল মাওবাদীদের যোগ রয়েছে। ২২ জন অভিযুক্তের মধ্যে বেশ কিছু ব্যাক্তিকে মাওবাদী যোগ থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Read the full story in English