New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/09/Anand-Giri.jpg)
মহন্তের একদা প্রিয় শিষ্যই এখন মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মহন্তের একদা প্রিয় শিষ্যই এখন মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মহন্তের একদা প্রিয় শিষ্যই এখন মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বুধবারই অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের প্রধান মহন্ত নরেন্দ্র গিরির দেহ বাঘমবারি মঠে সমাধিস্থ করা হয়। কিন্তু রহস্যমৃত্যুর ফোকাস এখনও মহন্তের শিষ্য আনন্দ গিরি। মহন্তের একদা প্রিয় শিষ্যই এখন মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন দুই আগে বাঘামবারি মঠে নরেন্দ্র গিরির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেখানে সাত পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। তাতে নাম থাকায় আনন্দ গিরি-সহ তিন শিষ্যকে আটক করে পুলিশ। বুধবার আনন্দ এবং আধ্য প্রসাদ তিওয়ারিকে প্রয়াগরাজ পুলিশ গ্রেফতার করে।
তবে এটাই বিতর্কে জড়ানো প্রথম নয় আনন্দ গিরির। তালিকা বেশ লম্বা। ৩৮ বছরের এই যোগগুরু প্রয়াগরাজের বড় হনুমান মন্দিরের পুরোহিত। নিজেকে আধ্যাত্মিক, যোগ গুরু বলে পরিচয় দেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কিছু ছবি অন্য কথা বলছে। লাক্সারি হোটেলে বাস, সৈকতে ঘুরে বেড়ানো, দামি গাড়ি-বাইকে সওয়ার হওয়া হাতের ময়লা আনন্দের কাছে।
নিম্ন মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মানো আনন্দ রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার ছেলে। আনন্দ ১২ বছর বয়সে ঘর ছাড়েন। হরিদ্বারে তার পর গুরুকূলে যোগ দেন। অনেক সময় তিনি বলতেন, বেদ-সংস্কৃততে জ্ঞান অর্জন করতে এমনটা করেছিলেন তিনি। তাঁর ওয়েবসাইটে আনন্দ গিরি দাবি করেছেন, তাঁর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক স্তরের ডিগ্রি রয়েছে। পরে বাঘমবারি মঠে আসেন তিনি। সেখানে গিয়ে নরেন্দ্র গিরির শিষ্য হন তিনি। মন্দিরে প্রার্থনা করা ছাড়াও যোগগুরু হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। দেশ-বিদেশ ঘুরে খ্যাতি লাভ করেন। যোগ নিয়ে ভাষণ, রাম কথা পাঠ করে জনপ্রিয় হন।
মঠ এবং আখড়ায় আনন্দের ধূমকেতুর মতো উত্থান, বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে সাধু-সন্তদের মধ্যে কানাঘুষো শুরু হয়। কিন্তু আনন্দের পাশে ছিলেন মহন্ত। তবে দুজনের সম্পর্কে চিড় ধরে যখন আনন্দ নিজের গুরুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং আখড়ার জমি বিক্রির অভিযোগ তোলেন। আখড়ার সম্পত্তির মধ্যে প্রয়াগরাজেই শুধু নয়, হরিদ্বার, মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং রাজস্থানেও প্রচুর জমি রয়েছে।
চলতি বছর দজনের সম্পর্ক আরও খারাপ হয় যখন মহন্ত করোনায় আক্রান্ত হন তখন। হরিদ্বারের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মঠে ফেরেন মহন্ত। এরপর গুরু-শিষ্যের সংঘাত এমন জায়গায় যায় যে আনন্দ গুরুর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্নীতি, প্রতারণার অভিযোগ করতে থাকেন। তখনই আনন্দকে মঠ ও আখড়া থেকে বহিষ্কার করেন মহন্ত। রেগে গিয়ে আনন্দ তখন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে পুলিশি তদন্তের দাবি জানান।
আরও পড়ুন মহন্ত নরেন্দ্র গিরির রহস্যমৃত্যুর জট খুলবে সাতা পাতার সুইসাইড নোট! আটক প্রধান শিষ্য
দুমাস আগে মঠের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, গুরু-শিষ্যের মধ্যে ঝামেলা মিটে গেছে। ভিডিওতে আনন্দ তাঁর গুরু মহন্তের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিচ্ছিলেন। এরপর মহন্ত জানান, আনন্দ ক্ষমা চেয়েছেন। সূত্রের খবর, এসবই ছিল লোক দেখানো। দুজনের ঝামেলা মেটেনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন