Advertisment

আদালতে শুটআউট থেকে তোলাবাজি! তিহাড় জেলেই বসেই তৈরি মাস্টারপ্ল্যান   

আইনজীবী হিসাবে রোহিনী আদালতে গোগি শুটআউটের ঘটনায় অভিযুক্ত হয় তিল্লু।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sunil Balyan alias Tillu Tajpuriya, beaten to death, gangsters inside Tihar, indian express, indian express news

তিহাড় জেলের মধ্যেই প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হলেন রোহিনী আদালতে শুটআউটে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার তিল্লু তাজপুরিয়া ওরফে সুনীল মান।মঙ্গলবার সকালে তার বিপক্ষ গ্যাংস্টার ও তাঁর সহযোগীরা লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় তিল্লুর উপর। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।দিল্লির মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টারদের তালিকায় প্রথম সারিতেই ছিল তিল্লু।

Advertisment

দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলে তিল্লুর বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, তোলা আদায় সহ একাধিক অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সালটা তখন ২০১৬, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। ঠাই হয় তিহার জেলেই। কিন্তু জেলবন্দী অবস্থাতেও চালিয়ে গেছেন অপরাধের রামরাজত্ব। জেলে বসেই গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র মান ওরফে গোগিকে খুনের পরিকল্পনা করেন তিল্লু ও তার দলবল। আইনজীবী হিসাবে রোহিনী আদালতে গোগি শুটআউটের ঘটনায় অভিযুক্ত হয় তিল্লু।

ছোট থেকেই অপরাধ জগতে হাত পাকিয়েছিলেন তিল্লু। পুলিশ সূত্রে খবর তিল্লু ও গোগি এক সময় হরিহর আত্মা থাকলেও পরে দু’জন দু’জনের প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বামী শ্রদ্ধা-আনন্দ কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়ায়। দুই গ্যাংস্টারের লড়াই ২২টি তাজা প্রাণ কেড়েছিল বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। ২০১৫ সালে তিল্লুর ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীকে খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় গোগি্র। প্রতিশোধ হিসেবে ওই একই বছরে গোগির সহযোগী অরুণকে খুন করে তিল্লু ও তাঁর দলবল। এক বছর পর ওই মামলায় গ্রেফতার হন তিল্লু। কিন্তু তাতেও দমে থাকেন নি তিনি। জেলে বসেই চালিয়ে গেছেন একের পর এক অপরাধ।

জেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৫ নাগাদ জেলের মধ্যে তিল্লুর উপর হামলা চালায় তাঁর প্রতিপক্ষ যোগেশ টুন্ডা ও তাঁর সহযোগীরা। তিহাড় জেলের নয় নম্বর সেলে বন্দি ছিল তিল্লু তাজপুরিয়া। তার ঠিক পাশের সেলেই বন্দি ছিল যোগেশ। লোহার গ্রিল টপকে রড দিয়ে তিলুর উপর হামলা করে তারা। হামলায় গুরুতর আহত হয় তিল্লু।পুলিশ জানিয়েছে তিল্লুর বিরুদ্ধে একাধিক থানায় প্রায় ডজন খানেকের বেশি মামলা ছিল। তিল্লুর বাবা তিনি এমসিডিতে কেরানি পদে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি অবসর নিয়েছেন। তার এক ভাই ডিটিসি ড্রাইভারি করতেন। তিল্লুর কারণেই তিনি তার চাকরি হারান বলেই পুলিশ জানিয়েছে।

Tihar Jail
Advertisment