Advertisment

বিড়ি বন্ধে উদ্যোগী বাংলাদেশ সরকার, বন্ধ হচ্ছে জর্দা, গুল বিক্রিও

সোনার বাংলায় সুখটানে টান! বিড়ি অমিল হতে চলেছে বাংলাদেশের বাজারে। আগামী ২ বছর কোনও বাংলাদেশের নাগরিক বিড়ি, জর্দা, গুল বিক্রিও যেমন করতে পারবেন না, তেমনই উৎপাদন করতেও পারবেন না। এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছে হাসিনা সরকার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
beedi, Bangladesh, cigarette

আগামী ২ বছরের মধ্যে বিড়ি বিক্রি করতে উদ্যোগী হল বাংলাদেশ সরকার। প্রতীকী ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিড়ি অমিল হতে চলেছে বাংলাদেশের বাজারে। আগামী ২ বছর পর সে দেশে বিড়ি নামক কোনও বস্তু যে থাকবে না, তা ২০১৭ সালেই নিশ্চিত করেছিলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তবে শুধু বিড়ি নয়, জর্দা, গুল, খাম্বিয়া, সাদাপাতাও নিষিদ্ধ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর ‘কালের কণ্ঠ’ সূত্রে। ফলে আগামী ২ বছর কোনও বাংলাদেশের নাগরিক বিড়ি, জর্দা, গুল বিক্রিও যেমন করতে পারবেন না, তেমনই উৎপাদন করতেও পারবেন না।

Advertisment

শুধু বিড়ি, জর্দাই নয়। সিগারেটেও টান পড়তে চলেছে সোনার বাংলায়। তামাক চাষেও লাগাম টানতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। ২০৩৮ সালের মধ্যে সে দেশে তামাক চাষ ও সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে হাসিনা সরকার। এমনকি, বাংলাদেশের সবথেকে বড় সিগারেট উৎপাদক সংস্থা ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতে থাকা সরকারের ১০.৮৫ শতাংশ শেয়ার রাখার ব্যাপারেও নিমরাজি হয়েছে হাসিনা সরকার। এই শেয়ারও বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে এক মাসের মধ্যে মতামত জানতে চেয়ে চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সই করা একটি চিঠি শিল্পমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বস্ত্রমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।

শুধু বিড়ি বা সিগারেটই নয়, আখ চাষ করে চিনি উৎপাদনের বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে। সরকারি চিনিকলগুলি বন্ধ করার ব্যাপারেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।

২০৪১ সালের মধ্যে নিজেদের দেশকে তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই পরিকল্পনাকেই বাস্তবায়িত করতে জনস্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন সেদেশের অর্থমন্ত্রী। যেসব এলাকায় তামাক চাষ করা হয়, সেখানে সবজি চাষের উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে সিগারেট উৎপাদক সংস্থা ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার থাকা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলি। ওই সংস্থার পরিচালন পর্ষদে বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবদের সদস্যরা থাকায় যে দেশে তামাক রোধের কাজ ব্যাহত হচ্ছে, সেকথাই বলছে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলি। ওই সংস্থার শেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের চার সচিবের নাম। ৯ সদস্যের পরিচালন পর্ষদে একজন অতিরিক্ত সচিব ও আরও এক প্রাক্তন সচিবের নাম রয়েছে বলেও জানা গেছে।

Bangladesh
Advertisment