Advertisment

সেনা প্রশিক্ষণের পরিকাঠামো নেই, পুলওয়ামা হামলার আগেই খবর ছিল সদর দফতরে

একাধিকবার সিআরপিএফ- এর এক আধিকারিক সেনাবাহিনীর সদর দফতরে চিঠি পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের অবস্থার সার্বিক উন্নয়নের জন্য আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। সিআরপিএফ আইজি রঞ্জিশ রাই শেষ চিঠি পাঠিয়েছিলেন পুলওয়ামা হামলার মাস দুয়েকেরও কম সময় আগে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দেশের সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষণ শিবির, অথচ স্থায়ী কোনও পরিকাঠামো নেই পুলওয়ামার সেনা ছাউনিতে। ফায়ারিং রেঞ্জ, পাচিল, কিছুই নেই। শুধুমাত্র শূন্য পদ পূরণের জন্য বিগত ৪ বছরে ১৫০ জন প্রশিক্ষণরত এবং প্রশাসনিক কর্মীকে পাঠানো হয়েছে এখানে। অথচ কাউন্টার ইন্সারজেন্সি অ্যান্ড অ্যান্টি টেররিজম (সিআইএটি) প্রশিক্ষণ পাননি কেউ।

Advertisment

২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত একাধিকবার সিআরপিএফ- এর এক আধিকারিক সেনাবাহিনীর সদর দফতরে চিঠি পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের অবস্থার সার্বিক উন্নয়নের জন্য আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। সিআরপিএফ এর আইজি রঞ্জিশ রাই-এর পক্ষ থেকে শেষ চিঠিটি পাঠানো হয়েছে ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর, পুলওয়ামা হামলার মাস দুয়েকেরও কম সময় আগে।

রঞ্জিশ রাই সিআরপিএফ -এর ১৭৫ একর জায়গা জুড়ে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশের সিআইএটি স্কুলের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯২ সালের গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস আধিকারিক। ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত তিনি উত্তর পূর্ব ভারতের সিআরপিএফ আইজি হিসেবে দায়িত্বে বহাল ছিলেন। পরে অন্ধ্রপ্রদেশের চিতুরের দায়িত্বে থাকাকালীন রাই সেচ্ছাবসরের জন্য আবেদন করলে খারিজ হয়ে যায় তা। এরপর নিয়ম বহির্ভূত ভাবে দায়িত্ব হস্তান্তরের 'অপরাধে' গত ডিসেম্বরে রঞ্জিশ রাইকে সাসপেন্ড করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেনাবাহিনীর সদর দফতরে পাঠানো চিঠিতে রঞ্জিশ রাই উল্লেখ করেন, কাশ্মীর এবং উত্তরপূর্ব ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানো জওয়ানদের সিআরপিএফ স্কুলে খুবই স্বল্প দৈর্ঘ্যের 'থিয়েটার স্পেসিফিক' প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন, পুলওয়ামায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, নিহত ৪ জঙ্গি

এই প্রসঙ্গে এক সিআরপিএফ আধিকারিক জানিয়েছেন, "এটা সত্যি, যে চিতুরের পরিকাঠামো যথেষ্ট নয়। শিলচর এবং শিবপুরির স্কুলেও ভাল পরিকাঠামো নেই। কিন্তু আমাদের কাছে যা কিছু আছে, তাকে কাজে লাগিয়ে শ্রেষ্ঠ ফলাফল বের করাই আমাদের মতো আধিকারিকদের কাজ। চিতুরেও কিছু বিশেষ প্রশিক্ষণ চালু করা যেত"।

২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লেখা এক চিঠিতে রঞ্জিশ রাই লিখেছেন, "বর্তমানে সারা দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৩টি সিআইএটি স্কুল রয়েছে। কিন্তু সিআইএটি প্রশিক্ষণ কোথাওই দেওয়া হয় না। অথচ আমরা যেখানে জানি দেশের মধ্যেই কাশ্মীর, উত্তরপূর্ব ভারত এবং মধ্য ভারতে সিআরপিএফকে দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষার্থে বেশ প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়"।

২২ নভেম্বর, ২০১৮ এর শেষ চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, "যখন কোনও প্রশিক্ষণ চলে না, সে সময়েও সমস্ত আধিকারিককে সিআইএটি স্কুলের দায়িত্বেই বহাল রাখা হয়"।

আরও পড়ুন, মিশন শক্তি: ‘‘মহাকাশ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে কি মোদীর ঘোষণা করা ঠিক হয়নি?’’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে যোগাযোগ করা হলে সিআরপিএফ  এর পক্ষ থেকে রঞ্জিশ রাইয়ের চিঠির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। জানানো হয়েছে দেশ জুড়ে থাকা সিআইএটি কেন্দ্রে প্রায় ২০ ধরনের কোর্স করানো হয়।

রাই তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, সাধারণত যে পিআই প্রশিক্ষণ জওয়ানদের দেওয়া হয়ে থাকে, তা একেবারে প্রাথমিক স্তরের। তুলনায় সিআইএটি প্রশিক্ষণ সন্ত্রাসবাদী হামলা মোকাবিলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। "নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতো প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা সিআরপিএফ -এর নেই", চিঠিতেই জানিয়েছিলেন রঞ্জিশ রাই।

Read the full story in English

kashmir Pulwama Attack Surgical Strike
Advertisment