মণিপুর ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। ৪ মে ওই ঘটনা ঘটলেও তা জানাজানি হয় সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর মাত্র কয়েকঘন্টা আগে। তারপর থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছে দেশ। ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছেন সবাই। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনায় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, গোটা দেশের মানুষের মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই রেয়াত করা হবে না'।
এর মাঝেই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যৌন নিপীড়নের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার আগে সেটিকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তিন মহিলাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মণিপুর পুলিশ এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে জীবন একজন। সোমবার তাকে সহ তিনজনকে বিশেষ থৌবালের বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়। জানা গিয়েছে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার আগে যে যুবক এই ভিডিওটি শ্যুট করেছিলেন তার ফোন থেকে ভিডিওটি মুছে ফেলার জন্য তাকে বেশ কয়েকবার চাপ দেওয়া হয়েছে।
জীবনের এক নিকট আত্মীয় জানিয়েছেন, "গ্রামের সিনিয়ররা" জানতেন যে তার ফোনে সেই মুহূর্তের ভিডিওটি ছিল। গ্রামের সিনিয়ররা তাকে ভিডিওটি মুছে ফেলার জন্য অনেকবার বলেছিলেন। পরে তিনি সেই ভিডিও তার এক খুড়তুতো ভাইয়ের কাছে পাঠায়। জুন মাসের কোন এক সময় মেইতেই সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন গ্রামে এসে আমাদের ফোনগুলো তারা পরীক্ষা করেন। সেই সময় জীবনের ডিভাইস থেকে ভিডিও ডিলিট করে দেওয়া হয়। জীবনের খুড়তুতো ভাই বছর ১৯-এর ইউমলেমবাম নুংসিথুকেও পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে।
এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অন্যদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি স্কুলের অধ্যক্ষের ছেলে, টায়ারের দোকানের এক শ্রমিক এবং এক দিনমজুরও রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে, শিখং বাজারের বাসিন্দারা সেখানকার কমিউনিটি সেন্টারে ২৯ বছর বয়সী অরুণ খুন্দংবামকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এক বৈঠকে বসেন। গোটা ঘটনায় গ্রামেরই এক নেতা বলেন, "এটা আমাদের গ্রামের জন্য লজ্জা । সারা ভারতের সামনে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে লজ্জায়। এমনকী প্রধানমন্ত্রীও এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন"। গোটা ঘটনায় আমাদের গ্রামের বাসিন্দা যে লজ্জিত-ক্ষিপ্ত তার অংশ হিসাবেই অভিযুক্তের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে গ্রামবাসীরা"।