ফের শহরে রহস্যমৃত্যু। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নরেন্দ্রপুরের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বিয়াল্লিশ বছরের মহিলার মুন্ডহীন দেহ। নৃশংস এই খুনের ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা যাচ্ছে, মৃতার নাম কৃষ্ণা বৈদ্য। প্রাথমিক তদন্তে মৃতার স্বামীর দিকের খুনের অভিযোগ উঠছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পরের দিন থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না মৃতার স্বামী বাপি বৈদ্যর।
ঠিক কী কারনে এই খুন?
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীর প্রতি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহেই এই খুন। এমনকি এও জানা যায় যে পেশায় গাড়িচালক বাপি বৈদ্য অর্থের জন্য স্ত্রীর উপর অনেক নির্যাতনও করত। খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বাপি বৈদ্য নিজে তিনবার বিয়ে করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বাপির প্রথম পক্ষের মেয়েই মৃতদেহটি প্রথম দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
আরও পড়ুন- অবসরের এক যুগ পরেও বিনা বেতনে স্কুলে পড়িয়ে চলেছেন দৃষ্টিহীন শিক্ষক
পুলিশের কাছে কৃষ্ণা বৈদ্যর মেয়ে জানায় যে, গতকাল তাঁর মায়ের কাছে আসার কথা ছিল। দীর্ঘক্ষণ মায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে সরাসরি বাড়িতেই চলে আসেন। বাড়িতে এসে মায়ের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশে খবর দেয় সে। তদন্তে থাকা এক পুলিশ আধিকারিক জানায়, মৃতার মেয়েই প্রথমে মৃতদেহটি দেখতে পায়। মুন্ডহীন দেহটি রাখা ছিল খাটের নীচে। পরে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, "কখন এবং কীভাবে কৃষ্ণাদেবীকে হত্যা করা হয়েছিল তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই জানা যাবে"।
আরও পড়ুন- মদ্যপানের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হাওড়ায় আক্রান্ত প্রাক্তন বক্সার
এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে মৃতার স্বামী বাপি বৈদ্যকেই সন্দেহের তালিকায় রাখা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানায়, গত কুড়ি পঁচিশ দিন ধরে মৃতার স্বামী এবং পেশায় গাড়িচালক বাপি এই নরেন্দ্রপুরের বাড়িতেই ছিলেন তাঁর গাড়ি মেরামতি করার জন্য। কৃষ্ণা বৈদ্যর সঙ্গে অনেক ঝুটঝামেলা হলেও পরের দিনই আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যেত। তবে স্থানীয়দের কেউই বাপিকে খুনের দিন বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে দেখেনি। পুলিশের অনুমান, বাপি বিষাক্ত কিছু খাইয়ে অচেতন করেই খুন করেন কৃষ্ণা বৈদ্যকে। বাপির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
Read the full story in English