চিনের সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা মঙ্গলবার জানাল, তারা বেকারত্বের পরিসংখ্যান প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছে। চিনের সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা আগে জানিয়েয়েছিল যে সেদেশে বেকার যুবকদের সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক বেড়েছে। ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সি বেকারদের সংখ্যা বেড়ে জুনে ২১.৩% হয়েছে। এরপর তাদের ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (এনবিএস) বা সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা জানাল, জুলাই মাস থেকে তারা আর বেকারদের বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে না। কারণ, বেকারত্বের হার কীভাবে মাপা হবে, সেই মাপকাঠিটাই তারা পুনর্বিবেচনা করছে।
তবে, এটুকু জানা গিয়েছে, জুলাই মাসে সামগ্রিক বেকারত্ব জুনের তুলনায় ০.১% বেড়েছে। এনবিএস মুখপাত্র ফু লিংহুই অবশ্য বলেছেন, 'কর্মসংস্থান পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল।' তবে, অন্যান্য মূল অর্থনৈতিক সূচকগুলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জন্য কোনও ইতিবাচক ছবি তুলে ধরেনি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ভোক্তাদের ব্যয় বেড়েছে ২.৫%। অথচ, কারখানার উৎপাদন কমেছে। এটা একটি সাধারণ মন্দা লক্ষণ বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সেই লক্ষণ দেখেই প্রশাসন যুব বেকারত্বের পরিসংখ্যান আর প্রকাশ না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত। আর, এই মত চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো সাড়া ফেলেছে। প্রশাসনের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন নাগরিকরা।
আরও পড়ুন- স্বাধীনতার ভাষণেও পাখির চোখ ২৪, ওবিসি-মহিলাদের প্রকল্পের টোপ প্রধানমন্ত্রীর
সূত্রের খবর, চিনের প্রশাসনের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পরিসংখ্যানও। জুনে শেষ হওয়া তিন মাসের আর্থিক বৃদ্ধির পরিসংখ্যান শেষবারের তুলনায় ০.৮%-এ নেমে এসেছে। সমতুল্য বার্ষিক আর্থিক বৃদ্ধির হার, কয়েক দশকের মধ্যে চিনের সবচেয়ে দুর্বল হারগুলোর একটি বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিমী দুনিয়ার অর্থনীতি বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি এবং মন্দার ভয়ের সঙ্গে লড়াই করছে। চিনের বাজার তাই পশ্চিমী দুনিয়াতে বড় ধাক্কা খেয়েছে। কারণ, পশ্চিমী দুনিয়ার বাজারের চাহিদা কমে গিয়েছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির দাবি ছিল, এবছর বার্ষিক আর্থিক বৃদ্ধি ঘটবে ৫%। বর্তমান পরিস্থিতিতে সে নিয়েও হাসি-মস্করা করছেন চিনের অনেক নাগরিকই। সোশ্যাল মিডিয়ায় যার ছবিটা ধরা পড়েছে।