রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রের থেকে আরও টিকা চেয়ে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সেই চিঠিতে ভ্যাকসিন জোগান বাড়ানো এবং নিয়মিত করার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে করোনার চিকিৎসায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেমডেসিভির জোগান বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ অক্সিজেনের সরবরাহে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টি দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘সরাসরি রাজ্য সরকারের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমতি চেয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি৷ কিন্তু সেই অনুমতি এখনও মেলেনি৷ অথচ কেন্দ্রীয় সরকার যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে তা সংখ্যায় অপর্যাপ্ত এবং জোগানও অনিয়মিত৷ যার ফলে রাজ্য টিকাকরণে অগ্রণী ভূমিকা নিলেও টিকার ঘাটতিতে গতি কমছে৷'
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট লিখেছেন, 'কলকাতার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দ্রুত হারে এবং নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী টিকাকরণ চালানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ভ্যাকসিনের সরবরাহ অপর্যাপ্ত এবং অনিয়মিত৷ যার ফলে আমাদের রাজ্যের টিকাকরণ কর্মসূচিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে৷ আমাদের আরও ২.৭ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে, তার জন্য ৫.৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন৷ রাজ্য যাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন পায়, তার জন্য অবিলম্বে আপনাকে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করছি৷'
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘করোনার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় দুই ওষুধ রেমডেসিভির এবং টোসিলিজুমাবের সঙ্কটও তৈরি হচ্ছে রাজ্যে৷ দৈনিক রাজ্যে রেমডিসিভির-এর ৬ হাজার ভায়াল এবং টোসিলিজুমারের ১ হাজার ভায়াল প্রয়োজন৷ সেখানে রাজ্যের হাতে এই মুহূর্তে রেমডেসিভির-এর মাত্র ১০০০ ভায়াল রয়েছে৷ আর টোসিলিজুমার নতুন করে সরবরাহ করা হচ্ছে না৷’
এই দু'টি ওষুধেরই সরবরাহ অবিলম্বে শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে উদ্যোগী হয়, সেই অনুরোধও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সেল-এর নিয়মিত অক্সিজেন সরবরাহ করছে রাজ্যে৷ এই সরবরাহ যাতে অব্যাহত থাকে, তা নিশ্চিত করতেও প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে তিনি জানান, করোনা অতিমারিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নিজেদের সব পরিকাঠামো ব্যবহার করে কেন্দ্রকে সব রকম সাহায্যে তৈরি রাজ্য সরকার৷