একধাক্কায় প্রায় ১০ হাজার গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল রাজ্যে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে উল্লেখ, একদিনে সংক্রমিত ৯৮১৯ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমিত ৬,৭৮, ১৭২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৮০৫ জন। রাজ্যে সক্রিয় সংক্রমণ ৫৮,৩৮৬।
জানা গিয়েছে, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৬ জন। এযাবৎকাল করোনায় রাজ্যে মোট মৃত ১০,৬৫২ জন।সুস্থতার হার ৮৯.৮২%।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে ভোটের দফা কমাতে ফের কমিশনে দরবার তৃণমূলের। করোনার কাঁপুনিতে বাংলা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবি জানাল তৃণমূল। এর আগেও দফা কমিয়ে তা একত্রে করার দাবি জানিয়েছিল জোড়া-ফুল শিবির। সেই একই দাবি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে জানানো হল তৃণমূলের তরফে।
বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল রাজ্যে ষষ্ঠ দফার ভোট। ফলে কমিশন দফা কমালেও ওই দিনের ভোটের ক্ষেত্রে অদলবদল এখনই সম্ভব নয়। তাই বাকি দু’দফা অর্থাৎ ২৬ ও ২৯ এপ্রিলের ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। মঙ্গলবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, প্রতিমা মণ্ডল, দোলা সেন এবং পূর্ণেন্দু বসু।
নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে সক্ষাতের পর তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভায় বক্তব্যের সময় কমিয়ে দিয়েছেন। তৃণমূলের সভার সংখ্যাও কমানো হয়েছে। আমরা এই মহামারির সময় বাকি দফাগুলির ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছি কমিশনের কাছে। কমিশন এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।’
দফা কমানোর বিষয়ে রাজ্যের শাসক দলের যুক্তি- দফা কমলে রাজনৈতিক দলগুলোর সবা-সংমাবেশ কমবে। কমবে প্রচারের বহরও। ফলে ভিড়ও হ্রাস পাবে। ভোট কর্মীদের ক্ষেত্রেও সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ কম হবে। এক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশও তুলে ধরা হয়েছে।
যদিও তৃণমূলের দফা কমিয়ে ভোটের দাবি মানতে নারাজ বিজেপি।