Bengal Covid Daily Update: রাজ্যে একধাক্কায় অনেক বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে সংক্রমিত ৬৬০ জন, মৃত ১২। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৩২ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৩৩%। সামান্য বেড়ে সক্রিয় সংক্রমণ সাড়ে ৭ হাজারের (৭৫০৬) উপরে। তবে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ হার ১.৭৮%।
এদিকে জেলাভিত্তিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা (২১৬)। তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনা (১২৪) এবং হুগলি (৪৬)। অনেকটাই কমেছে হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। সংখ্যা। পাশাপাশি বুধবার নতুন করোনা বিধি কার্যকর করেছে নবান্ন। সেই বিধিতে উল্লেখ, ২৪-৩১ ডিসেম্বর রাজ্যে থাকবে না রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। অর্থাৎ রাত ১১টা-ভোর ৫টা কোনও কার্ফু থাকবে না। তবে ১৫ জানুয়ারি অবধি কার্যকর থাকবে করোনা বিধি। পয়লা জানুয়ারি থেকে এবং ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লাগু ১১টা-৫টা রাত্রীকালিন বিধি।
অপরদিকে স্বস্তির খবর, ওমিক্রন আক্রান্ত বাংলার শিশুর রিপোর্ট নেগেটিভ। ওমিক্রন সংক্রমিত শিশুর লালা পরীক্ষার পর রিপোর্ট নেগেটিভের আশায় ছিলেন পরিবার ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। শিশুর শরীরে ওমিক্রণ সংক্রমণের খবর স্বাস্থ্য দফতরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই মালদা জেলা তথা গোটা রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়ে যায়। আতঙ্ক ছড়ায় গোটা রাজ্যজুড়ে।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে তড়িঘড়ি সংক্রমিত শিশু ও তার পরিবারের লোকেদের মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁদের আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সংক্রমিত শিশু ও তার পরিবারের প্রত্যেকের দ্বিতীয়বার লালা সংগ্রহ করা হয়।
বৃহস্পতিবার মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় ওই শিশুর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ। পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় তাঁদেরকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পরিবারের লোকেদের দাবি এর আগেও তাঁরা মালদার একটি বেসরকারি থেকে করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন। তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সে বিষয়টি জানানোর পরেও তাঁদেরকে হয়রানির শিকার করা হয়েছে বলে দাবি করেন। দুপুরে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু-সহ তার পরিবারের প্রত্যেককে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানান, ওই শিশু-সহ তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্য সকলেই সুস্থ রয়েছেন আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন