থানায় অত্যাচার, জোর করে মূত্রপান মুসলিম যুবককে, সাসপেন্ড পুলিশ অফিসার

যুবকের তলপেটে ব্যাট দিয়ে মার, দাড়িও কেটে দেয় অভিযুক্ত পুলিশ।

যুবকের তলপেটে ব্যাট দিয়ে মার, দাড়িও কেটে দেয় অভিযুক্ত পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bengaluru cop suspended for allegedly assaulting Muslim youth, making him drink urine

মুসলিম যুবককে শারীরিক নিগ্রহ, জোর করে মূত্রপান করানোর অভিযোগ উঠল পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে।

মুসলিম যুবককে শারীরিক নিগ্রহ, জোর করে মূত্রপান করানোর অভিযোগ উঠল পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযোগের জেরে। সাসপেন্ডেড পুলিশ অফিসারের নাম হরিশ কে এন। এদিকে, নিগৃহীত যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisment

ডিসিপি সঞ্জীব এম পাটিল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, সোমবার একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট জমা পড়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে হরিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে, থানায় রিপোর্ট না করার জন্য। আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, তৌসিফ পাশা নামে ওই ২৩ বছরের যুবককে গত বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়ার অভিযোগে তাঁকে থানায় আনা হয়। তৌসিফের বাবা আসলাম পাশার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে থানায় নিগ্রহ করা হয়। পুলিশ তৌসিফকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে টাকা চায়।

আসলাম বলেছেন, "তখনও জানতাম না থানায় কী অমানসিক অত্যাচার হয়েছে ছেলের সঙ্গে।" তৌসিফ জানান, হরিশ এবং অন্য দুই কনস্টেবল তাঁর তলপেটে ব্যাট দিয়ে মারে। ঝোর করে তাঁর দাড়ি কেটে দেয়। এবং জোর করে মূত্রপান করায়।

Advertisment

আরও পড়ুন ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিয়ে ক্যাথলিক স্কুলে ব্যাপক তাণ্ডব বজরং দলের, আতঙ্কে পড়ুয়ারা

"আমার তলপেটে তিনবার ব্যাট দিয়ে মারে ওরা। আমি ওদের কাছে জল খেতে চেয়েছিলাম। জলের বদলে আমাকে প্রস্রাব খাওয়ায় আমাকে। আমার দাড়িও কেটে দিয়েছে। আমি কাকতি-মিনতি করি যে দাড়িটা আমার আস্থার অংশ। কিন্তু ওরা বলে এটা কোনও ধর্মীয় স্থান নয়। আমাকে দিয়ে থানাও পরিষ্কার করায় ওরা", বলেন তৌসিফ।

আসলাম জানিয়েছেন, বিধায়ক জামির আহমেদের হস্তক্ষেপে থানা থেকে মুক্তি পান তৌসিফ। পরিবার জানিয়েছে, তৌসিফকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সোমবার ছাড়া হয় তাঁকে। তৌসিফের পিঠে, থাইয়ে এবং শরীরে অন্য অংশে এখনও কালশিটে দাগ রয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bengaluru police