সোশাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে সংঘর্ষের ঘটনায় কমক্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়কের আত্মীয় সোশাল মিডিয়ায় 'ক্ষতিকারক' ওই পোস্ট করেছিল বলে অভিযোগ। এরপরই পূর্ব বেঙাগলুরুর ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষকারীরা একে অপকে পাথর ছুড়তে থাকে ও গাড়ি ভাঙচুর করে।
বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পন্থ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডিজিটালকে বলেছেন, ''সংঘর্ষে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংঘর্ষের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।' এই ঘটনায় শীর্ষ আধিকারিক সহ ৫০ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। কমিশনারের কথায়, 'পুলিশ জিপ, বাস-সহ অন্যান্য গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে পাথর ছোঁড়া হয়েছিল। ডিসিপি -র গাড়ি উল্টে ভাঙচুর চলে ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।'
এই ঘটনায় পুলিশ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। বেঙ্গালুরু পুলিশের তরফে টুইটে বলা হয় যে, 'ডিজি হাল্লি ও কেজি হাল্লি এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে ও শূন্যে গুলি চালিয়েছে। পুলিশ কমিশনার এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যারা এই ঘটনায় অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তিনি বলেছেন, 'সরকার এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করবে না ও রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছি।'
কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির আত্মীয় নবীন ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। অভিযোগ, সেই পোস্ট ইসলাম বিরোধী ও আপত্তিকর। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়তেই হাজার খানেক লোক বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিযোগ, এর পরই বিক্ষোভকারীরা বিধায়কের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকেন। বাড়ির সামনে রাখা বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। বিধায়করের বাড়ির রক্ষীকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যে সময় এই ঘটনাটা ঘটে সেই সময় বিধায়ক বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি থানার পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশকে দেখামাত্রই বিক্ষোভকারীরা তাদের দিকে তেড়ে যান। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বোম্মাইয়া বলেছেন, 'গোটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। যাই হোক না কেন সংঘর্ষ, ভাঙচুর কোনও সমাধানের পথ হতে পারে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ফ্রি-হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে।'
পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছে বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ। ডিজি হাল্লি ও কেজি হাল্লিতে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন