Former PM Atal bihari vajpayee poems: মাতৃভাষাতেই আশ্রয় খুঁজেছেন বারবার। সে ভাষাকে হাতিয়ারও করেছেন প্রয়োজনে। রাষ্ট্র পুঞ্জের সাধারণ সভার মঞ্চে হিন্দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রথম এই মানুষটাই।
Atal bihari vajpayee poems: মৃত্যুর কাছে জিতে যাওয়ার বিজ্ঞান এখনও অধরা। তাই হার মানতেই হল। কিন্তু সে পরাজয় শরীরের। যে মানুষটা হার না মেনে থেকে যাবেন, তাঁর নাম অটল বিহারী বাজপেয়ী। ভারতরত্ন তথা, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী। একাধিক পরিচয় তাঁর। এই এত পরিচয়ের জন্য ইতিহাসের পাতায় বাজপেয়ীর নাম থেকে যাবে নিশ্চয়ই। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে তিনি থেকে যাবেন অন্য পরিচয়ে। সেই সব পরিচয়ের দিকে ফিরে তাকানো যাক একটু।
Advertisment
গোয়ালিয়রের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মানো মানুষটি মাটির টানকে উপেক্ষা করেননি কখনও। মাতৃভাষাতেই আশ্রয় খুঁজেছেন বারবার। সে ভাষাকে হাতিয়ারও করেছেন প্রয়োজনে। একদা রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং অধুনা জাতি সঙ্ঘের সাধারণ সভার মঞ্চে হিন্দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রথম এই মানুষটাই। রাজনীতি, বিদেশনীতির কচকচানি নিয়েই কারবার, অথচ এমন প্রাঞ্জল ভাষায় কবিতা লিখতে পারতেন বাজপেয়ী! ওঁর রাজনৈতিক বক্তৃতা শুনতে ভিড় করতেন বিরোধী দলের নেতারাও।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও মাথা নোয়ানো যাবে না, তিনিই তো শিখিয়েছিলেন তাঁর কবিতায়।
হাম ঝুঁক নেহি সাকতে
দাও পর সব কুছ লাগা হ্যাঁয়,
রুক নেহি সাকতে
টুট সাকতে হ্যাঁয় মগর
হাম ঝুঁক নেহি সাকতে
'মেরে প্রভু' কবিতায় সর্ব শক্তিমানের উদ্দেশে তাঁর প্রার্থনা ছিল, মাটিতে পা রেখেই যেন চলতে পারেন আজীবন
মেরে প্রভু
"মুঝে ইতনি উঁচাই কভি মত দেনা
গ্যায়রোকো গলে না লাগা সাকু
ইতনি রুখাই কভি মত দেনা"
গভীর আঁধার ঘনিয়ে আসা সময়ে আলোর স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করেনা এসব লাইন পড়ে? সত্যিই ইচ্ছে করে না?
আও ফিরসে দিয়া জ্বালায়ে
"ভরি দুপহরিমে আঁধিয়ারা
সুরজ পরছাইসে হারা
বুঝি হুই বাতি সুলগায়ে
আও ফিরসে দিয়া জ্বালায়ে"
গীত নয়া গাতা হু ম্যায়
টুটে হুয়ে স্বপ্নো কি কউন শুনে সিসকি
অন্তরকি চির ব্যথা পলকো পর ঠিঠকি
হার নেহি মানুঙ্গা
রাহ নেহি ঠানুঙ্গা
কালকে কপাল পে লিখতা মিটাতা হু
গীত নয়া গাতা হু ম্যায়..."
সত্যিই হার মানেননি মানুষটা। জীবনের গান গেয়ে চলেছেন, চলবেন। নশ্বর দেহটা নয়, তাঁর সৃষ্টি, তাঁর ভাবনা অমরত্ব পাক।