ভারতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রকাশ হওয়ার পর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এ দেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরত গিয়েছেন ৪৪৫ জন বাংলাদেশি। এ কথা জানিয়েছেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর অধিকর্তা মেজর জেলারেল মহঃ শাফিনুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার একটি প্রেস বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন বিজিবি প্রধান।
মেজর জেলারেল মহঃ শাফিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভারত থেকে বেআইনিভাবে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে প্রবেশের অপরাধে ২০১৯ সালে প্রায় এক হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই করার পরে বিজিবি জানতে পারে কিছু অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী এবং তাঁদের কাছে নথিও ছিল। এরপরই নভেম্বর, ডিসেম্বরে ৪৪৫ জনকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর পালা: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
গত সপ্তাহেই সীমান্ত সম্পর্কিত ডিজি পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে শাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে দিল্লি সফরে এসেছিলেন বিজিবির একটি প্রতিনিধি দল। সেখানেই এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার তথা বিজিবির প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। শাফিনুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, 'এনআরসি সম্পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।' একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভারত সরকার এবং দু'শের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত ভাল। তবে ভারতে অনুপ্রবেশ আটকাতে আরও সতর্ক নজরদারি চালানো হবে বলেও জানান তিনি। তবে ওই আলোচনায় সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হলেও এনআরসি নিয়ে কোনও কথা হয়নি বলে জানা যায়।
সিএএ-এনআরসি লাগু করবে ভারত সরকার।হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা অবৈধ উপায়ে এদেশে আসা কোনও বাংলাদেশিকে বরদাস্ত করা হবে না। এরপরই ভারতে থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। গত দু'মাসে সীমান্ত পারের হার নজিরবিহীন। এদিকে সিএএ-এনআরসি ঘিরে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের উষ্ণতা নিম্নমুখি বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। নাগরিকত্ব আইনের পরই বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেন। এই প্রেক্ষিতে বিজেপির এদিনের ঘোষণা গুরুত্ববাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English