কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে চলছে ২৪ ঘন্টার ভারত বনধ। বনধের ভাল প্রভাব পড়েছে বাম সরকার পরিচালিত কেরালায় বাংলাতেই বিক্ষিপ্ত প্রভাব পড়েছে বনধের। ভোর থেকেই পথে নেমে বনধ সফল করতে মরিয়া বামেরা। কলকাতার ধর্মতলা, বেহালায় বনধ সমর্থকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। বেলা বাড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় বারাসত, বর্ধমান, হুগলিতে। উত্তর২৪ পরগনার বারাসতে দফায় দফায় চলছে অবরোধ। হেলাবটতলার কাছে রেল লাইন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কৌট বোমা। বর্ধমানে বনধ সমর্থকদের দাদাগিরির ছবি লক্ষ্য করা গিয়েছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি, কর্মসংস্থানের বেহাল দশা, অর্থনৈতিক মন্দা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বিক্রি বা বন্ধের প্রতিবাদ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি, এনপিআরের প্রতিবাদে এদিন বনধের ডাক দিয়েছে বামেদের দশ কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন। এই বনধকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: আজ ২৪ ঘণ্টার ভারত বনধ, কিন্তু ইস্যু কী?
বাংলায় ধর্মঘট হবে না। সোমবারই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার এই অবস্থানকে কটাক্ষ করেছে বামেরা। মমতা বলেছিলেন, ‘‘ইস্যুকে সমর্থন করলেও ধর্মঘট আমরা সমর্থন করি না। যখন থেকে সরকারে এসেছি, কোনও বনধ সমর্থন করিনি। ইস্যুকে সমর্থন করছি। আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা নাগরিকের পক্ষে। দেশের নাগরিকের অধিকারের পক্ষে। কিন্তু এজন্য বনধ করতে যাব কেন। একেই দেশে অর্থনৈতিক ক্ষতি চলছে। আবার বনধ করলে, হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট হবে। আসলে দেশ ভুগবে। আমি চাই না, মানুষের ভোগান্তি হোক। বনধ করে কী লাভ! বনধ না করে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করুক এটাই চাই। বাংলায় কোনও বনধ হবে না।’’
যাত্রী হয়রানি রুখতে অন্যান্য দিনের থেকে আজ ২২ শতাংশ বাড়তি বাস পথে নামাবে পরিবহণ দফতর। শিয়ালদহ, হাওড়া শাখায় মোটের উপর ট্রেন চলছে স্বাভাবিক গতিতে। এদিন সর্বভারতীয় জয়েন্ট পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করতে রাজ্য সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে প্রসাশন সূত্রে খবর। রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে বনধ সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করছেন। ফলে নাকাল হচ্ছেন মানুষ। কলকাতায় গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলো মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।
Read the full story in English
Live Blog
চলছে ভারত বনধ। দেশ ও রাজ্যে বনধের প্রভাব কতটা? সেই সংক্রান্ত সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে। Follow the Live updates...
বাঁকুড়া মাচানতলা এসবিআই ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ধর্মঘটকারীরা। সেই সময় হঠাৎ করে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের জোর করে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।পরে টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের গাড়িতে তোলে পুলিশ।
বাঁকুড়া মাচানতলায় বনধ-ধর্মঘটীদের মধ্যে বচসা ঘিরে উত্তেজনা। pic.twitter.com/ioYB5Qken7
— indianexpress bangla (@iebengali) January 8, 2020
নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বনধের প্রভাব দেখা গিয়েছে। এদিন সকালে থেকেই শহরে কম গাড়ি চলছে। স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে বাস। দোকানপাটও প্রায় বন্ধ রয়েছে।
নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বনধের প্রভাব দেখা গিয়েছে। pic.twitter.com/z8eGLFH2tb
— indianexpress bangla (@iebengali) January 8, 2020
হুগলির খন্যান সহ বিভিন্ন স্টেশনে বাম শ্রমিকদের ট্রেন অবরোধ ঘিরে উত্তেজনা। চূড়ান্ত হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ।
খন্যান স্টেশনে বাম শ্রমিকদের ট্রেন অবরোধ। pic.twitter.com/S8tcvGD5zA
— indianexpress bangla (@iebengali) January 8, 2020
ভিডিও: উত্তম পাল
মাথায় হেলমেট, হাতে স্টিয়ারিং। সরকারি বাসে উঠলেই এই ছবি ধরা পড়ছে শিলিগুড়িতে। বনধ সমর্থকদের রোষ থেকে বাঁচতে এইভাবেই বাস চালাচ্ছেন চালকরা।
Siliguri: A North Bengal State Transport Corporation(NBSTC) bus driver wears a helmet in wake of protests during #BharatBandh called by ten trade unions against 'anti-worker policies of Central Govt' #WestBengal pic.twitter.com/ZCbe7uRq4m
— ANI (@ANI) January 8, 2020
মোদী সরকারের জনবিরোধী ও শ্রমিক বিরোধী নানা নীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাম শ্রমিক সংগঠনগুলো আজ ২৪ ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছে। এই বনধকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস ও আইএনটিইউসি। এদিন রাহুল গান্ধী বনধের সমর্থনে টুইট করে তাঁর সমর্থনের কথা জানান।
The Modi-Shah Govt’s anti people, anti labour policies have created catastrophic unemployment & are weakening our PSUs to justify their sale to Modi’s crony capitalist friends.
Today, over 25 crore 🇮🇳workers have called for #BharatBandh2020 in protest.
I salute them.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) January 8, 2020
দুর্গাপুর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করল ধর্মঘটীরা। বেশ ক্ষানিক্ষণের জন্য চলে অবরোধ। জিআরপি অবরোধ তুলতে এলে বনধ সমর্থকদের সঙ্গে বচসা বেধে যায়। সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।
দুর্গাপুরে ট্রেন অবরোধ ধর্মঘটীদের। pic.twitter.com/FCUyrXgJCW
— indianexpress bangla (@iebengali) January 8, 2020
বারাসত স্টেশনে বনধ সমর্থনকারী এসইউসিআই-য়ের শ্রমিক সংগঠনের মিছিল। এদিন বারাসতে বনধ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন চলাচল। নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। হেলাবটতলা থেকে উদ্ধার হয়েছে কৌট বোমা। চাঁপাডালি মোড় দফায় দফায় অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা।
ছবি: শশী ঘোষ
বর্ধমানে বনধে পেট্রলপাম্প বন্ধ করার চেষ্টা।
বনধ সত্ত্বেও কেন রাস্তায় নেমেছে বাস-গাড়ি। ক্ষুব্ধ বনধ সমর্থনকারী। বর্ধমানে বনধের সমর্থনে চলল বাম কর্মীদের দাদাগিরি। ভেঙে দেওয়া হল গাড়ির সাইড গ্লাস।
বনধের নামে বাম কর্মীদের 'দাদাগিরি' বর্ধমান শহরে। গাড়ির সাইড গ্লাস ভেঙে তাণ্ডব। দেখুন সেই ভিডিও... pic.twitter.com/wNHeIclZsh
— indianexpress bangla (@iebengali) January 8, 2020
হাওড়া শাখায় মোটের উপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। তবে স্টেশনের বাইরের ছবিটা অন্যান্য দিনের থেকে খানিকটা আলাদা। ট্যাক্সি বা অন্যসব যানবাহনের সংখ্যা তুলায় কম। ফলে স্যান্ড থেকে ট্যাক্সি পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
ছবি: পার্থ পাল
বনধের সকালে বাঁকুড়ায় মিশ্র সাড়া পড়েছে। এদিন সকালেই বনধের সমর্থনে মিছিল করে বাম শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা।
বনধের সমর্থনে বাঁকুড়ায় মিছিল বাম শ্রমিক সংগঠনের... pic.twitter.com/vW3SucaKQK
— indianexpress bangla (@iebengali) January 8, 2020
বনধে কেরালা ও বামলায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই দুই রাজ্যেই বামেদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। কেরালায় ক্ষমতায় রয়েছে বামেরা।
হায়দ্রাবাদে সহ গোটা তেলেঙ্গানাতেই বনধের প্রভাব তেমন নেই। তবে বাম নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে এদিন বনধ পালিত হয় কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরগুলিতে।
বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকা বনধের প্রবাব পড়েছে। তবে, বনধের প্রতিবাদে পথে নেমেছে গেরুয়া শিবির। দোকানপাঠ খোলার জন্য আর্জি জানাচ্ছে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। আগরতলার অনেক জায়গাতেই এই ছবি ধরা পড়েছে।
বনধ ডেকেছে বামেদের শ্রমিক সংগঠনগুলো। বনধকে সমর্থন জানিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসে এসএফআই সমর্থকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বলে পড়ুয়াদের একাংশ।