Bharat Bandh on 8th January 2020: বুধবার ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ভারত বনধের জেরে দেশজুড়ে ব্যাহত হতে পারে ব্যাঙ্কিং এবং এটিএম পরিষেবা। বনধে যোগ দেবেন কয়েক হাজার ব্যাঙ্ক কর্মচারী, যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ওপর। টাকা জমা দেওয়া বা তোলা, চেক ক্লিয়ার করা, এবং অন্যান্য কিছু পরিষেবাও ধর্মঘটের ফলে ব্যাহত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির ওপর ধর্মঘটের বিশেষ প্রভাব না পড়ারই সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই ধর্মঘট এবং ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ওপর তার সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে বিভিন্ন স্টক এক্সচেঞ্জকে সতর্ক করে দিয়েছে একাধিক ব্যাঙ্ক।
নরেন্দ্র মোদীর সরকার দ্বারা বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ এবং ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডেকেছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন। গত মাসে দেশজোড়া ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে একটি বিবৃতি জারি করে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন, অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসারস অ্যাসোসিয়েশন, ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন, এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফিসারস কংগ্রেস।
স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে জমা দেওয়া ফাইলে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অবশ্য জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের খুব সামান্যই প্রভাব পড়বে তাদের কাজকর্মে। "আমাদের কর্মীদের মধ্যে খুব অল্পসংখ্যকই কোনও ইউনিয়নের সদস্য, ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাও খুব কম, সুতরাং ব্যাঙ্কের কাজকর্মের ওপর ধর্মঘটের প্রভাব হবে যৎসামান্য," জানিয়েছে এসবিআই।
অন্যদিকে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, যা কিনা ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক, জানিয়েছে যে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ফলে তাদের বিভিন্ন শাখা এবং দফতরের কাজকর্ম স্রেফ ব্যাহতই নয়, একেবারে অচলও হয়ে পড়তে পারে। তাদের রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, "ধর্মঘটের দিন ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখায় এবং দফতরে যথানিয়মে কাজকর্ম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তবে ধর্মঘট বলবৎ করা হলে শাখা বা দফতরের কাজ প্রভাবিত অথবা অচল হয়ে পড়তে পারে।"
কানাড়া ব্যাঙ্কও আশঙ্কা করছে যে ধর্মঘটের ফলে ব্যাহত হবে তাদের পরিষেবা। এ বিষয়ে মোটামুটি ব্যাঙ্ক অফ বরোদার সুরেই সুর মিলিয়েছে তারা। অন্যদিকে সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক তাদের গ্রাহকদের বার্তা দিয়েছে যেন তাঁরা ৮ জানুয়ারির ধর্মঘটের আগেই লেনদেন সেরে নেন।
ব্যাঙ্কিং ছাড়াও পরিবহণ এবং অন্যান্য কিছু পরিষেবার ওপরেও ভারত বনধের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে কিছু রাজ্যে। স্থগিত করা হচ্ছে ICAR National Eligibility Test (NET), তবে ৮ জানুয়ারির জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা (JEE Main) নির্দিষ্ট সূচী অনুযায়ীই হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।