Advertisment

আজ ২৪ ঘণ্টার ভারত বনধ, কিন্তু ইস্যু কী?

৮ জানুয়ারী দেশব্যাপী ধর্মঘটের জন্য ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরেই বামেদের ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রের স্বাধীন শ্রমিক সংগঠনগুলিও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কাল কেন ভারত বনধ?

কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের “জনবিরোধী” নীতির প্রতিবাদে বুধবার দেশব্যাপী ধর্মঘটে ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন (সিটিইউ)। এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করবে প্রায় লক্ষাধিক লোক এমনটাই ঘোষণা করেছে সিটিইউ। সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদে নাগরিক সমাজকে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা। ৮ জানুয়ারী দেশব্যাপী ধর্মঘটের জন্য ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরেই বামেদের ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রের স্বাধীন শ্রমিক সংগঠনগুলিও।

Advertisment

দশটি সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নের দেওয়া বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানায়, "আমরা আশা করছি ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারী আসন্ন জাতীয় সাধারণ ধর্মঘটে কমপক্ষে ২৫ কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করবেন। সরকারের জনবিরোধী, দেশবিরোধী নীতিগুলির বিরুদ্ধেও বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে। ২ জানুয়ারী শ্রমিকদের ডাকা বৈঠকে যে দাবি রাখা হয়েছিল সরকারের কাছে সেই আশ্বাস পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে শ্রম বিভাগ। সরকারের নীতি ও কর্মপদ্ধতিতে শ্রমিকদের প্রতি সরকারের অবজ্ঞার মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে।"

আরও পড়ুন: ‘জেএনইউ-তে সাজানো ঘটনা, রক্ত না লাল রং?’, বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের

শ্রমিক ইউনিয়নের পাশাপাশি বর্ধিত ফি কাঠামো ও শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের ৬০টি প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে এবং নিজেদের দাবি তুলে ধরতে ১৭৫টিরও বেশি কৃষি শ্রমিক ইউনিয়ন ৮ জানুয়ারি গ্রামীণ ভারত বনধ হিসেবে পালন করবে। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে জেএনইউ-এর মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুলিশ, এবিভিপির হামলার নিন্দা জানিয়ে তাঁদের লড়াইয়ের প্রতি সমর্থনও প্রকাশ করেছে ট্রেড ইউনিয়ন। এছাড়াও বেকারত্ব, অর্থনীতির হাল ফেরানো, শিল্প স্থাপন, নারী সুরক্ষা, এনআরসি, সিএএ, অবসরকালীন পেনশন এবং সমকাজে সমবেতনের দাবীতেও কাল ধর্মঘটে নামছেন ইউনিয়নগুলি।

আরও পড়ুন: ‘কেন এসব করতে গেলেন?’ জেএনইউকে বার্তা মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের

রেল, ব্যাঙ্ক, প্রতিরক্ষা ইউনিটের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন ইউনিয়নগুলি। বিবৃতিতে তাঁরা জানান, "এখনও পর্যন্ত ১২টি বিমানবন্দরকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিমানসংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশই বিক্রি করার কথা ঠিক হয়ে গিয়েছে। এমনকী বিএসএনএলও বিক্রি হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ৯৩৬০০ হাজার টেলিকম কর্মীকে একপ্রকার জোর করেই ভিআরএস দিয়ে দেওয়া হয়েছে।" সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এলামারাম করিম বলেন, "বুধবার ১২টা থেকে দেশের সব ট্রেড ইউনিয়নদের ২৪ ঘন্টার ধর্মঘট শুরু হবে। জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন, সরকারি কর্মচারী, ব্যাঙ্ক, বীমা কর্মচারীদের সংগঠনগুলিকে নিয়েই জাতীয় ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এটি মোদী সরকারের শ্রম বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। সকল শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি প্রতি মাসে ২১ হাজার টাকার দাবি-সহ আরও অনেক দাবি উত্থাপন করছি আমরা।"

Read the full story in English 

national news
Advertisment